নির্বাচনের পরেই রিটার্ন গিফট জ্বালানির লাগাতার মূল্য বৃদ্ধি, কেন্দ্রকে তোপ এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর
বেস্ট কলকাতা নিউজ : জ্বালানির লাগাতার মূল্য বৃদ্ধি হল কার্যত কেন্দ্রের একটা রিটার্ন গিফট পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের পরেই । মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নবান্নে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী ঠিক এইভাবেই সুর চড়ালেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। স্রেফ সুফল বাংলা আউটলেটের সংখ্যা বাড়ানো নয়, টাক্স ফোর্সের সদস্য়, এনফোর্সমেন্ট বিভাগ, পুলিশ-সহ রাজ্যের সমস্ত দফতরকেই বাজারে নজরদারি আরও বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এমনকি রাজ্যগুলির আর্থিক অবস্থা নিয়েও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন।
পেট্রল-ডিজেলের দাম কমার তো কোনও লক্ষণই নেই। সঙ্গে আবার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও পাল্লা দিয়ে বেড়েছ চলেছে। কার্যত আকাশছোঁয়া দামে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের। এনিয়ে চরম উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয় নিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই নবান্নে একটি বৈঠকও করলেন টাক্স ফোর্স, কৃষি বিপণন, পরিবহণ, সেচ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী ও আধিকারিকদের সঙ্গে। তিনি বললেন, সুফল বাংলার দোকান আছে মোট ৩৩২টি। এ ছাড়া ৫০টি স্টল আছে জেলায়। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি নির্দেশ দেয় ৩৩২ থেকে বাড়িয়ে ৫০০টি করতে হবে এই সুফল বাংলার স্টলের সংখ্যা। এ ছাড়া সুফল বাংলার স্টল সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বাজারে বাজারে দাঁড়াবে। এর পর সুফল বাংলা স্টল খোলা থাকবে দুপুর ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্তও । আগামী দিনে খোলা হবে আরও স্টল ।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন রমজান মাস চলছে। বিপুল দামে ফল কিনতে হচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনকে।কিছুটা রেহাই দেওয়ার চেষ্টা করা হবে সুফল বাংলার স্টলের মাধ্যমে ফল বিক্রি করে। সেখান থেকে কম দামে কলা, খেজুড়, তরমুজ বিক্রি করা হবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে তোপ দেগে আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার কোনওভাবেই কোনও সমাধানে পৌঁছে দিতে পারছে না দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির উল্টো দিকে। সেই কারণে রাজ্য সরকার আলাদা ভাবে ব্যবস্থা করছে। রাজ্য সরকারের সুফল বাংলার স্টলে আলু, পেঁয়াজ, বাঁধাকপি, আদা, শশা, কলা-সহ দরকারি জিনিসও রাখা হবে। আমার নিজেরা মাছ চাষ করছি। বেড়েছে ডিম-পেঁয়াজের উৎপাদনও । নজরদারি আরও বাড়াতে হবে’টাক্স ফোর্সের সদস্য, কৃষি বিপণন, এনফোর্সমেন্ট বিভাগ ও পুলিস-সহ আমাদের সমস্ত বিভাগকে। সেইসঙ্গে তিনি কেন্দ্রের কাছে GST-ক্ষতিপূরণের মেয়াদ বাড়ানো. জিনিসপপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ ও টোল ট্যাঙ্ক নেওয়ার বন্ধেরও আর্জি জানিয়েছেন।