প্রকৃতির তৈরি এক রহস্যময় জীবন্ত ‘ঝুলন্ত সেতু, একবার এই জায়গায় ঘুরে আসুন
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কংক্রিট কিংবা লোহার তৈরি সেতু তো দেখেন হামেশাই, তবে কখনো কি দেখেছেন জীবন্ত সেতু ? বলছি মেঘালয় রাজ্যের বিখ্যাত সব ঝুলন্ত সেতুর কথা। বর্তমানে ছোট-বড় ১০০টি জীবন্ত রুট ব্রিজ আছে মেঘালয়ের ৭২টি গ্রামজুড়ে। এই সেতুগুলোর কারণে মেঘালয় ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের অস্থায়ী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।এই সেতুগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে‘জিংকিয়েং জেরি: লিভিং রুট ব্রিজ কালচারাল ল্যান্ডস্কেপস অব মেঘালয়’। সেতুগুলো তৈরি হয়েছে প্রাকৃতিকভাবেই। কবে ও কীভাবে এসব সেতু তৈরি হয়েছে তা জানা না গেলেও ১৮৪৪ সালের এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল জার্নালে পাওয়া যায় চেরাপুঞ্জির সেতুগুলোর প্রথম লিখিত রেকর্ড।
সেখানে বসবাস করেন মূলত আদিবাসী ও খাসি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠিরা । ইউনেস্কোর মতে, ‘এই কাঠামোগত ইকোসিস্টেম শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে গভীর সম্প্রীতি ঘটিয়েছে চরম জলবায়ু পরিস্থিতিতে ।’ শুধু মেঘালয়েই নয় বরং এ ধরনের জীবন্ত সেতু দেখা যায় বিশ্বের সবচেয়ে আর্দ্র অঞ্চলে। মেঘালয়ের এই সেতুগুলো সংযোগের সুবিধা দেয় আশপাশের ৭৫টিরও বেশি প্রত্যন্ত গ্রামে ।
এ ধরনের সাসপেনশন ব্রিজগুলো তৈরির পেছনের রহস্য হলো, নদী বা খালের আশপাশের গাছগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী ও আকারে বাড়ে শিকড়গুলোও। এভাবেই তৈরি হয় মূলত প্রাকৃতিক ঝুলন্ত সেতু। এ ধরনের সেতুগুলো খুবই মজবুত হয়। মেঘালয়ের সবচেয়ে বড় লিভিং রুট ব্রিটটির বয়স আনুমানিক ১৫০ বছরেরও বেশি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। একসঙ্গে ৫০ জন চলাচল করতে পারেন এই সেতু দিয়েও ।