কোন্নগর কলেজে নিগৃহীত শিক্ষক প্রসঙ্গে চাঞ্চল্যকর অভিমত নারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের
সুমন কারাতি, হুগলী : আপনি আপন ধর্ম, পরেরে শেখায়! এই জন্মের ফল, এজন্মেই পেতে হতে হবে! মত হুগলির বাহিরখন্ডের নারায়নপুর এলাকার বাসিন্দাদের। কোন্নগর হীরালাল পাল কলেজে শিক্ষক নিগ্রহ নিয়ে যখন তোলপাড় গোটা রাজ্য রাজনীতি, যখন নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা সভ্য সমাজে, ঠিক তখনই অন্য সূর বাহিরখন্ড পঞ্চায়েতের নারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দাদের। শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনার প্রতিবাদ জানালেও সেই শিক্ষক যখন সুব্রত চ্যাটার্জীর মতন মানুষ তা ভেবে তারা যথেষ্ট খুশি। তাঁদের বক্তব্য এই গ্রামেই ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছেন কোন্নগর হীরালাল পাল কলেজের নিগৃহীত বাংলার অধ্যাপক সুব্রত চ্যাটার্জী। অভিযোগ ১৯৯৭ সালে এই সুব্রত চ্যাটাজীর হাতেই প্রহৃত হয়েছিলেন তৎকালীন রামনগর নূটবিহারী পাল চৌধুরি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনসারাম ঘোষ। শিক্ষক মনসারামকে গাড়ী থেকে নামিয়ে রিতিমত জুতোপেটা করা হয়েছিলো। যার নেতৃত্বে ছিলেন বর্তমানে কোন্নগর কলেজের এই নিগৃহীত শিক্ষক সুব্রত চ্যাটার্জী। এই গ্রামের বাসিন্দা অবিনাশ ঘোষ, অরূপ কুমার ঘোষদের ১৯৯৭ সালের সেদিনের কালো স্মৃতি আজও জলজল করছে। তাঁরা বলেন সেসময় সুব্রতবাবু ছিলেন সিপিএমের হার্মাদ তৈরীর কারিগর। ১৯৯৭ সালের ২৩শে জানুয়ারী নেতাজীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এলাকায় জাতীয় পতাকা তোলা নিয়ে চরম বিরোধীতা করে সুব্রত। তা নিয়ে তিনি দলবল নিয়ে হাজির হয়েছিলেন এলাকায়। চলে ব্যাপক তান্ডব। বাহিরখন্ড স্টেশনের সামনে তৎকালীন নুটবিহারী পাল চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনসারাম ঘোষকে ব্যাপক মারধর করে। সুব্রত জুতো খুলে মনসারামকে মারধর করে। সেই মামলা চন্দননগর আদালতে টানা ১৫ বছর চলে। পরে সুব্রতবাবুর পরিবারের অনুরোধে মামলা তুলে নেওয়া হয়। সেদিন সুব্রত যে ভূল করেছিলো, আজ তার প্রতিদান পেয়েছে সুব্রত। আর প্রায় ২২বছর আগের সেদিনের নিগৃহীত শিক্ষক মনসারাম আজ বার্ধ্যক্যে এসে দাঁড়িয়েছেন। তিনি কিন্তু সুব্রতবাবুর হাতে জুতোপেটার কথা স্বীকার করলেও কোন্নগর কলেজের ঘটনার যথেষ্ট নিন্দা করেন। তিনি বলেন সেদিন সুব্রত যা ভূল করেছিলো, আজ সেই ভূলই করেছে কয়েকজন যুবক। তবে তিনি এও বলেন এজন্মের পাপের ফল এজন্মেই যে পাওয়া যায় আজ তার প্রমান পেলাম।