তৃণমূল সিন্ডকেটের দাদাগিরি এমনকি স্কুল তৈরিতেও ! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দ্বারস্থ হল অসহায় দম্পতি
বেস্ট কলকাতা নিউজ : দাদাগিরির অভিযোগ উঠলো তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত সিন্ডিকেট বাহিনীর বিরুদ্ধে । দুর্গাপুরের এক দম্পতি স্কুল করতে পারছেন না সরকারের ঘরে টাকা জমা রেখে জমি নিয়েও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেল করে ওই দম্পতি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ।
দুর্গাপুরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সিটি সেন্টার সংলগ্ন পলাশডিহাতে বেসরকারি চোখের হাসপাতালের গা ঘেঁষে এলাকারই বাসিন্দা চন্দ্রনাথ সামন্ত ও দীপা সামন্ত প্রায় সাড়ে চার কাঠা জমি নিয়েছিলেন প্লে স্কুল তৈরির জন্য। একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমা রেখে দুর্গাপুরের এই দম্পতি আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা এডিডিএ-র কাছ থেকে এই জমি লিজ নেন । জমির যাবতীয় সরকারি নিয়ম শেষে এই বছর তা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়। সেই মোতাবেক আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের জমি সারভেয়াররা ওই জমিতে আসেন ফিজিক্যালি জমি হস্তান্তরের জন্য। অভিযোগ, এই হস্তান্তর প্রক্রিয়াতে এডিডিএ-র কর্তারা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন। অভিযোগ তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত সিন্ডিকেট বাহিনীর সদস্যরা এসে এই কাজে বাধা দিচ্ছে বলেও। তবে দুর্গাপুরের এই দম্পতি এখানেই থেমে থাকেননি। এডিডিএ-র দেওয়া জমির লিজের কাগজপত্র হাতে নিয়ে চন্দ্রনাথ সামন্ত নিজের জমিতে কাজ শুরু করতে যান। অভিযোগ, বিপত্তি ঘটছে কাজ শুরু করতে গিয়ে ।
অভিযোগ, জমিতে স্কুল তৈরির কাজ শুরু করতে গেলেই পলাশডিহা নাগরিক মঞ্চের নাম করে চলে আসছে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মানস রায়ের অনুগামী বলে পরিচিত এই সিন্ডিকেট বাহিনীর সদস্যরা। নির্মাণ সামগ্রীর জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার পাশা পাশি এমনকী তারা শ্রমিকদের হেনস্থা করছে। একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের তোলা না দিলে কাজ তো শুরুই করতে দেবে না, এমনকী তাঁর ছেলের অভিযোগ স্কুল তৈরির কাজ শুরু করলে চন্দ্রনাথ সামন্তকে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে ।
স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মানস রায়, এডিডিএ, পুলিস-প্রশাসনকে অভিযোগ জানান দম্পতি। কিন্তু কাজের কাজ কিছু না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেল করে সিন্ডিকেট বাহিনীর দৌরাত্ম্যর কথা জানানো হয়েছে বলে জানান তাঁরা।