এবার সিবিআইয়ের হানা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে, তলব এমনকি পর্ষদ সভাপতিকেও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : গতকালই রেখেছিল ইঙ্গিত দিয়ে। আজই যেন তাঁর ফল দেখা গেলো । এবার সিবিআই হানা দিল খোদ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসেই । এমনকি তলব করা হল পর্ষদ সভাপতিকেও। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে সিবিআই আচমকা হানা দিল আজ সকাল ন’টা নাগাদ ! জানা গেছে, সভাপতি কল্যাণময় গাঙ্গুলিকে দফতরে ডাকাও হয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মূলত আগে এসএসসি ঠিক করত কোন শিক্ষক কোন স্কুলে যাবেন। এখন এসএসসি পর্ষদকে পাঠিয়ে দেয় প্যানেল তৈরি করে, তার পরে সেটি পর্ষদ ঠিক করে। আর ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এই নিয়োগ নিয়েই । এমনকি জড়িয়ে পড়েছেন খোদ পর্ষদ সভাপতি নিজেই। সেই কারণেই সিবিআই পর্ষদ অফিসে গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আগেই জেরার জন্য ডাকা হয়েছিল বেশ কয়েক জনকে। এখন তাঁদের জেরা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা রেকর্ড করছেন অ্যাডমিন পারমিতা রায়ের বয়ান। সিবিআই গোয়েন্দারা এও জানিয়েছেন, চেষ্টা চলছে কী ভাবে গোটা দুর্নীতি হয়েছে, বেআইনি ভাবে নিয়োগ কোন পথে হয়েছে, কাদের নির্দেশে হয়েছে, তা বিশদে জানার।
এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে বাগ কমিটির সুপারিশ মতো সিবিআই একাধিক জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা করে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঁচ বড় কর্তার বিরুদ্ধে । শান্তিপ্রসাদ ছাড়াও সিবিআই এফআইআর করে কমিশনের প্রাক্তন সচিব অশোককুমার সাহা, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার, কমিশনের প্রাক্তন প্রোগ্রামার সমরজিৎ আচার্য এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।এফআইআরে সিবিআইয়ের আরও অভিযোগ, শান্তিপ্রসাদ তালিকার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর ওই জাল সুপারিশপত্রগুলি তুলে দেন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময়ের হাতে । কল্যাণময় পর্ষদের টেকনিক্যাল অফিসার রাজেশ লায়েককে ওই জাল সুপারিশপত্রের ভিত্তিতেই নির্দেশ দেন নিয়োগপত্র তৈরি করার ।