ফের মধ্য রাতে অঙ্গ প্রতিস্থাপন শহর কলকাতায় , এই মাসে রাজ্যে অঙ্গ প্রতিস্থাপন এর সংখ্যা পৌছালো সর্বোচ্চ চূড়ায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অঙ্গদানের দৃষ্টান্ত স্থাপনের ক্ষেত্রে ক্রমেই উজ্জ্বল হয়ে উঠছে শহর কলকাতার নাম । রবিবার সন্ধ্যায় ফের বাইপাসের মেডিকা হাসপাতালে একটি অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ঘটনা ঘটল । অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃতা শেলী দে-র পরিবারের সম্মতিতেই গ্রহণ করা হয় তাঁর লিভার ও চোখ। অসুস্থতার কারণে নেওয়া সম্ভব হয়নি হার্ট এবং কিডনি।পরিসংখ্যান বলছে, অগাস্ট মাসে সর্বাধিক অঙ্গদানের ঘটনা ঘটেছে এ রাজ্যে।৬১ বছরের শেলী দে-কে ২৩ তারিখ মেডিকায় ভর্তি করা হয় মাথাব্যথা ও বমি নিয়ে। তাঁর মস্তিষ্কও ঠিক মতো কাজ করছিল না। অসংলগ্ন আচরণ করছিলেন তিনি। পরীক্ষায় ধরা পড়ে, মস্তিষ্কে প্রবল রক্তক্ষরণ হচ্ছে তাঁর। ভেন্টিলেশনে রাখা হলেও, ২৪ তারিখ রাতেই তাঁর মস্তিষ্কের মৃত্যু হয় ।
এর পরেই হাসপাতালের তরফে শেলী দেবীর পরিবারকে অঙ্গদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তাঁরা রাজিও হয়ে যান আলোচনার পরে। তখনই খবর পাঠানো হয় স্বাস্থ্য ভাবনে। নিয়ম মেনে রবিবার সন্ধ্যায় শেলী দে-র ব্রেন ডেথ ঘোষণা করা হয় সরকারি ভাবে। এর পরে সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ হারভেস্টিং অর্থাৎ অঙ্গ সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। জানা গেছে, কাছেই আরএন টেগোর হাসপাতালে তাঁর লিভার প্রতিস্থাপন করা হবে। চোখের কর্নিয়া সংগ্রহ করেছে শংকর নেত্রালয়।
মেডিকার চেয়ারম্যান অলোক রায় বলেন, “আমরা অঙ্গদানের ব্যাপারে সব সময়েই উৎসাহিত করি মৃতের পরিবারের সদস্যদের। ইদানীং সচেতনতাও বেড়েছে অনেক পরিমানে । রাজ্য সরকারকে এ জন্য ধন্যবাদ। মৃতের পরিবারের কাছেও আমরা কৃতজ্ঞ, তাঁদের সহযোগিতার জন্য।”আরএন টেগোর হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, মেডিকায় মৃত প্রৌঢ়া শেলী দে-র লিভার সংগ্রহ করে তাদের হাসপাতালে আসামাত্রই জরুরি ভিত্তিতে শুরু হয়েছে প্রতিস্থাপনের প্রস্তুতি। ব্যারাকপুরের বাসিন্দা, ৬২ বছরের এক প্রৌঢ়ের শরীরে বসানো হবে লিভারটি। দু’বছর ধরে লিভারের দুরারোগ্য অসুখে ভোগার পরে প্রতিস্থাপন হতে চলেছে তাঁর লিভারটি ।