৬ কোটি বছরের পুরনো ডাইনোসরের ডিম হাতে নিয়ে চক্ষু ছানাবড়া হল খুদে পড়ুয়াদের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ওদের প্রত্যেকের বয়স বড়জোড় ১০-১২। প্রথমে বইয়ের পাতায়, পরে সিনেমার, বড় স্ক্রিনে দেখেছে। যখন দেখেছে, তখন হা হয়েছে মুখ, চোখ হয়েছে গোলগোল! তবে কখনও কি তারা ভেবেছে ডাইনোসরের ডিম হাতে নেবে তারা? এতো পুরো রূপকথার গল্পেরই মতো না! ছ’কোটি বছরের পুরনো ডাইনোসরের ডিম দেখে চোখ ছানাবড়া পড়ুয়াদের। জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের সহযোগিতায় দেশের সেরা ভূ বিজ্ঞানীদের সংগ্রহ করা ডাইনোসরদের ডিম, হাড়-সহ বিভিন্ন সংগ্রহ দেখল খুদেরা। ছ’কোটি বছর আগেকার ইতিহাস দেখতে পেয়ে উৎফুল্ল পড়ুয়ারাও। প্রকৃতি পরিবেশ এবং বিজ্ঞান নিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে চেতনা এবং আগ্রহ বাড়াতে জলপাইগুড়ি আশালতা বসু বিদ্যালয়ের একটি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করেছিল জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাব।এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন দেশে ভূ-বিজ্ঞানী ডক্টর প্রদীপ সেনগুপ্ত। বিজ্ঞানীকে সামনে পেয়ে একাধিক প্রশ্ন করে ছাত্রছাত্রীরাও। তিনি ডাইনোসরের ফসিল এবং রক মিনারেল নিয়ে ছাত্রছাত্রী একাধিক প্রশ্নের উত্তর বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দেন বিজ্ঞানী।
এদিন ডাইনোসরের ডিম, হাড় ছাড়াও লক্ষাধিক বছর পুরোনো একাধিক ফসিল এবং রক মিনারেল দেখে রীতিমতো চক্ষু ছানাবড়া হয় ছাত্রছাত্রীদের। সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের বক্তব্য, এখানে কিছু দুর্লভ জীবাশ্ম নিয়ে আসা হয়েছে। যেগুলি খুদে পড়ুয়ারা কোনও দিন দেখেনি।
সচেতনতা শিবিরে উপস্থিত ছাত্রী মধুস্মিতা রায় বলেন , “ফসিল, মিনারেল রক এই বিষয়টিতে খুব আগ্রহ রয়েছে। আগামীতে যদি এই বিষয় নিয়ে পড়ুয়ারা পড়তে চায়, তাহলে এই বিষয়গুলোতে খুব উপকার হবে।” তবে কখনও পড়ুয়ারা ডাইনোসোরের ডিম চোখের সামনে দেখতে পাবে , এ তো স্বপ্নেও সে ভাবিনি ।