কে বসতে চলেছে কর্ণাটকের কুর্সিতে? কংগ্রেস ধুয়ে দিল বিলম্ব নিয়ে বিজেপির কটাক্ষকে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কথায় আছে নিজের বেলায় আটিসুঁটি, পরের বেলায় দাঁতকপাটি। কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় ফিরেছে বহুদিন পরে। মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চালাচ্ছে এআইসিসির নেতৃত্ব। শনিবার ফল বেরিয়েছে। তার পর পেরিয়েছে মাত্র তিন দিন । কিন্তু, তাতেই যেন বিজেপির গায়ে ফোসকা পড়েছে। গেরুয়া শিবিরের নেতারা সুযোগ বুঝে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন তিন দিন বিলম্বের জন্য। ভোটের ফলে রীতিমতো উজ্জ্বীবিত কংগ্রেস অবশ্য বিলম্ব করেনি জবাব দিতে।
আপনি আচরি ধর্ম- বার্তা দিয়ে কংগ্রেস বিজেপিকে মনে করিয়ে দিয়েছে অসম আর উত্তরপ্রদেশের কথা। কংগ্রেসের তরফে দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ টুইট করেছেন, ‘২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরিয়েছিল ১১ মার্চ। যোগী ৮ দিন বাদে ১৯ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২০২১ অসম বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোয় ৩ মে। হিমন্ত বিশ্বশর্মা তার ৭ দিন পরে ১০ মে মুখ্যমন্ত্রী হন। এরকম আরও অনেক উদাহরণ আছে।’
মূলত, শনিবার কর্ণাটক নির্বাচনের ফল ঘোষণা হলেও কংগ্রেস তার মুখ্যমন্ত্রী বাছাই চূড়ান্ত করেনি কারণ, সেখানে রয়েছে একাধিক দাবিদার। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া তো ছিলেনই। কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারও দলের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি চেয়ে বসে আছেন। এদিকে সিদ্দারামাইয়াও এগিয়ে দাবিদার হিসেবে। কিন্তু, শিবকুমারও নাকি সমানতালে টক্কর দিয়ে যাচ্ছেন। গোটা ব্যাপারটা কংগ্রেস হাইকমান্ডও ভালো চোখে দেখছে না।
দলের তরফে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক তথা কর্ণাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা নয়াদিল্লিতে জানান , ‘ আমরা যখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেব, তা ঘোষণা করব। এটা ঠিক হবে যে কে আমাদের সিএলপি (কংগ্রেস পরিষদীয় দল)-র নতুন নেতা হবেন। কর্ণাটকে খারাপ ফলাফলে বিজেপি হতাশ হয়ে গুঞ্জন করছে এবং গুজব ছড়াচ্ছে। ওদের গুঞ্জন ও গুজব শোনা বন্ধ করুন। কংগ্রেস প্রত্যেক কান্নাডিগার কল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কংগ্রেস যে পাঁচটি গ্যারান্টি দিয়েছে, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সেগুলো পূরণ করতেও । কংগ্রেস তার এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এমনকি কংগ্রেস প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি পরিষ্কার, স্বচ্ছ এবং দায়িত্বশীল সরকার গঠনেও ।’