মেইন লাইনে সিগনাল, তবে পয়েন্ট কেন লুপ লাইনে? অন্তর্ঘাত তত্ত্বই ক্রমশ জোরাল হচ্ছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় আরও জোরাল হচ্ছে অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে তদন্তে নেমেছে সিবিআই । মঙ্গলবারই তাঁরা বাহানগায় দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। কথা বলেন একাধিক রেল আধিকারিকের সঙ্গে। প্রাথমিক তদন্তে রেলের ইন্টারলকিং সিস্টেম ও সিগন্যালিং ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সিবিআই কর্তারা। কীভাবে মেইন লাইনের সিগন্যাল দেওয়া থাকলেও, পয়েন্ট সিস্টেমে লাইনের অভিমুখ লুপ লাইনের দিকে করা ছিল, তা নিয়েই রহস্য ঘনাচ্ছে। এটি ‘ম্যান-মেড’ দুর্ঘটনা কিনা, তা নিয়ে এখনই নিশ্চিত হতে পারছে না সিবিআই। তবে এই তত্ত্বও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।
বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনায় তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই অন্তর্ঘাতের ইঙ্গিত মিলেছিল। রেলের তরফে যেমন তদন্ত করা হচ্ছে, পাশাপাশি সিবিআই তদন্তও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রেল বোর্ড। অন্তর্ঘাত-তত্ত্ব জোরাল হয়েছে খুড়দা ডিভিশনের ডিআরএম-এর দাবিতেও। তিনিও প্রশ্ন তুলেছেন, মেইন লাইনে সিগনাল থাকা সত্ত্বেও কীভাবে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। অতিরিক্ত গতি বা চালকের ভুল, তদন্ত শুরু হওয়ার পরই এই তত্ত্বগুলি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবারই দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে সরেজমিনে তদন্ত করতে পৌঁছয় সিবিআই-এর ১০ সদস্যের টিম। প্রাথমিকভাবে সিবিআই-র নজর ছিল রুট রিলে কেবিনে। সেখানে কর্মীদের কাছে থেকে কীভাবে সিগনালিং ও পয়েন্ট সিস্টেম প্রযুক্তি কাজ করে, তা বুঝে নেন সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি চলে তথ্য সংগ্রহ। দুর্ঘটনার দিন ডিউটিতে কারা ছিলেন? কার কী দায়িত্ব ছিল? যাবতীয় প্রশ্ন করেন সিবিআই আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, বাহানাগাতে কর্মরত রেলকর্মীদের কাছ থেকে সিবিআই আধিকারিকরা প্রশ্ন করেন, কোন কোন পদ্ধতিতে সিগনাল পরিবর্তন করা হয়? রুট রিলে কেবিনের দায়িত্বে কারা থাকেন? কিভাবে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়? নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকেন কারা? ইত্যাদি।
সূত্রের খবর, অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব ক্রমশ জোরাল হচ্ছে সিগনালিং-র গড়মিলের কারণে। এই বিচ্যুতির পিছনে কী মানুষের হাত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।