অবশেষে ঝাপ বন্ধ চড়া সুদের টোপ দিয়ে বাজার থেকে টাকা তুলে! সাধারণ মানুষ চিটফান্ডের প্রতরণার শিকার তমলুকে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সারদা, রোজভ্যালি, পিঙ্কন, আইকোর-সহ একাধিক কোম্পানিতে টাকা রেখে অতীতে সব খুইয়েছেন প্রচুর সাধারণ মানুষ। এ বার বন্ধন মাল্টি স্টেট কোপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডে কয়েক কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল তমলুকে। তমলুকে কয়েক কোটি টাকার বেশি তুলে ঝাঁপ বন্ধ করে উধাও চিটফান্ড সংস্থা। এর জেরে সব খোয়ালেন কয়েকশো আমানতকারী। সারদা, রোজভ্যালি কেলেঙ্কারির পরেও হুঁশ এখনও ফিরল না। আবারও সর্বস্বান্ত হল কয়েকশো আমানতকারী। তমলুক থানার রামতারকহাটে ব্যবসায়ী সমিতির একটা অফিস নিয়ে ‘বন্ধন মাল্টি স্টেট কোপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ নামে চিটফান্ড সংস্থার বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকার প্রতারণা করে গা ঢাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠল।
বাজার থেকে টাকা তোলার পর সমিতির অফিসে তালা ঝুলিয়ে সংস্থার কর্মকর্তারা চম্পট দিয়েছে বলে অভিযোগ। এর পর প্রতারিত আমানতকারীদের অনেকেই থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। প্রতারণার অভিযোগ তুলে তাঁরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। চার বছর আগে কয়েকজন ব্যক্তি মিলে রামতারকহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির দোতলায় ঘর ভাড়া নিয়েছিল। মাসিক সাড়ে চার হাজার টাকার বিনিময়ে সেই ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। সেখানেই গড়ে তোলা হয়েছিল চিটফান্ড অফিস। ১০ বছরের জন্য ১১ শতাংশ সুদের টোপ দিয়ে তমলুক এবং শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে টাকা তোলা হয় বলে অভিযোগ। চিটফান্ড অফিস তৈরির নেপথ্যে সিপিএমের কয়েকজন নেতা সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রামতরক বাজার, কাঁকটিয়া বাজার, মেচেদা, সহ বিভিন্ন হাটে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির অফিস ঘর ভাড়া নিয়ে চলছিল এই চিটফান্ড ব্যবসা। স্থানীয় অনেক দোকানদার টাকা রেখে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। এছাড়াও তমলুক, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের কয়েক হাজার মানুষ টাকা রেখেছিলেন। তাঁরাও প্রতারিত হয়েছেন। মাস কয়েক আগে সংস্থার অফিসে ঝাঁপ বন্ধ করে কর্মকর্তারা বেপাত্তা হয়ে যায়। অফিসে তালা ঝুলছে।
এ বিষয়ে রামতারকহাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বীরেন্দ্রনাথ ধাড়া বলেছেন, “এপ্রিল মাস থেকে ভাড়া বকেয়া। আমরা অফিসের দখল নেওয়ার জন্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।” ওই চিটফান্ড অফিস বন্ধ হওয়ার পর তার ম্যানেজার অসীম খাটুয়ার বাড়িতে হামলা চালান প্রতারিত আমানতকারীরা। আতঙ্কে এলাকাছাড়া হতে হয় ম্যানেজারকে। যদিও এই চিটফান্ডের সঙ্গে সিপিএমের নাম জোড়ানোর নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সিপিএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেছেন, “সিপিএমকে কালিমালিপ্ত করার জন্য নাম আনা হচ্ছে। সিপিএমের সঙ্গে চিটফান্ডের কোনও সম্পর্ক নেই।