মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে এলেন বিজয়া করতে, ৪০ মিনিটের শুভেচ্ছা বিনিময় রাজ্যপাল-মমতার
বেস্ট কলকাতা নিউজ : রাজভবন-নবান্নের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলার প্রমাণ আগেই মিলেছিল। এবার রাজভবনে গিয়ে ৪০ মিনিটের বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছাও সেরে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৫ মিনিট নাগাদ তিনি রাজভবনে পৌঁছন। বেরিয়ে আসার সময় সাংবাদিকরা তাঁর এই আচমকা রাজভবনে আসার কারণ জানতে চান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলাম।’ সাংবাদিকদের রাজনৈতিক কোনও প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে চাননি।
এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা তাঁর সঙ্গে রাজভবনে দেখা করার পরই রাজ্যপাল ছুটে গিয়েছিলেন দিল্লিতে। রাজ্যের আর্থিক দাবিদাওয়া নিয়ে সেখানে তিনি দরবারও করেন। তারপর পুজোর মধ্যেই রাজ্যপালকে দেখা গিয়েছে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের পুজোয় উপস্থিত থাকতে। অবশ্য, তারমধ্যেই পুজো উপলক্ষে রাজ্যপালের ঘোষিত ‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কার নিতে রাজি হয়নি বাছাই চারটি পুজো কমিটির কেউই।
মধ্যের সেটুকু টানাপোড়েন অতিক্রম করেই বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা গেল বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে রাজভবনে ছুটে যেতে। তার আগেই অবশ্য দশমীর পর বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে রাজভবন থেকে মিষ্টি পাঠানো হয়েছিল। পালটা, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকেও শুভেচ্ছার মিষ্টি পৌঁছে গিয়েছিল রাজভবনে। এই মিষ্টি বিনিময়ের পূর্বে, পুজোর আগেই রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে চান। মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে চোট ছিল। তার মধ্যেই তাঁকে দেখা গিয়েছে কার্নিভালে যোগ দিতে। সাংবাদিক বৈঠক করতে। এবার রাজভবনে গিয়ে সরাসরি বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়, সরাসরি দেখাও করে এলেন। সাংবাদিকরা বৃহস্পতিবার রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর পায়ের চোটের ব্যাপারে জানতে চান। জবাবে মুখ্যমন্ত্রী জানান তাঁর পা এখন, ‘ভালো আছে’।
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর অবস্থা সংকটজনক। তাঁকে দেখতে যাবেন। এর বাইরে অন্য কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী। যদিও বৃহস্পতিবার সকালে তিনি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন, ‘আমি লক্ষ করেছি যে, কেন্দ্রীয় সরকার এমএনআরইজিএ তহবিল নিয়ে যে প্রচার করছে, তার মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে বেশ কিছু ভুল আছে। আমাদের প্রবল আন্দোলন, বিস্তারিত তথ্য এবং হিসাব জমা দেওয়ার পরও কেন্দ্র বকেয়া অর্থ দেয়নি। উলটে, সাধারণ মানুষকে বোকা বানাতে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। রাজ্য সরকারকে অপদস্থ করতে একাজ করা হচ্ছে। আমরা প্রাপ্য অংশ পেতে চাই। এভাবে ভুল তথ্য ছড়ানোর পরও বঞ্চিত মানুষের পাশে থাকতে চাই।’