ফের বড়সড় গলদ নিরাপত্তায়! মুম্বই পুলিশের কোনও হুঁশ ফেরেনি ২৬/১১ ভয়ঙ্কর জঙ্গি হানার পরও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : 26/11 ভয়ঙ্কর জঙ্গি হানায় কেঁপে ওঠে বাণিজ্যনগরী মুম্বই। সন্ত্রাসবাদী হামলার সেই স্মৃতি আজও সকলের মনে টাটকা। ভয়ঙ্কর সেই জঙ্গি হামলার পর মুম্বই পুলিশ শহরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে বাড়তি নজরদারির জন্য হামলার ৪৬টি স্পিড বোট কেনে। যা উদ্দেশ্য ছিল উপকূলবর্তী অঞ্চলে কড়া নজরদারি। যাতে এই ধরণের জঙ্গি হামলার পুনরাবৃত্তি আর না হয়। আর আজ এতদিন পর মুম্বই পুলিশের সেই নৌবহরের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৮টিতে।
দেশটির আর্থিক রাজধানী মুম্বই এ পর্যন্ত অনেক সন্ত্রাসী হামলার সম্মুখীন হয়েছে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কালো দিন ছিল ২০০৮ সালের 26/11, যখন জঙ্গিরা বাণিজ্যনগরীতে বড় সড় নাশকতা চালায়। এই ক্ষত আজও বেঁচে আছে মানুষের হৃদয়ে। লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গিরা সমুদ্রপথে মুম্বইয়ে প্রবেশ করেছিল এবং ৪ দিন ধরে কার্যত মুম্বই শহরের দখল নিয়েছিল জঙ্গিরা। এই হামলায় ১৬৪ জন নিহত এবং ৩০০ জনের বেশি আহত হয়। 26/11 -এর সেই কালো দিনের পরে মুম্বই পুলিশ শহরের উপকূলবর্তী এলাকায় উপর নিবিড় নজরদারির জন্য ৪৬টি নৌকা কিনেছিল।
26/11 জঙ্গি হামলার সময়, মুম্বই পুলিশের কাছে সৈকতে টহল দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সংস্থান ছিল না। তখন তাদের কাছে মাত্র ৪টি ফাইবারগ্লাস নৌকা ছিল। ২০০৮ সালের জঙ্গি হামলার পর, রাজ্য সরকার হাই স্পিড বোট কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর পরে ৪৬ টি নৌকা মুম্বই পুলিশের বহরে যোগ দেয়। নিরন্তর নজরদারিই ছিল এই নৌকা কেনা উদ্দেশ্য। শহরের প্রায় ১১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলকে আরও সুরক্ষিত করতে কেনা হয় এই বিশেষ হাই স্পিড বোটগুলি । ৪৬টি নৌকার মধ্যে ৩৮টি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে, আর মাত্র ৮টি নৌকা চালু রয়েছে।
মুম্বই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে 26/11 হামলার পরের ৩ বছরে ৪৬ টি হাই স্পিড বোট কেনা হয়। এর মধ্যে কিছু নৌযান জল ও স্থল উভয় স্থানেই চলতে সক্ষম ছিল। আজ মাত্র ৮ টি স্পিড বোট চালু আছে। এই স্পিড বোটগুলো কেনা হয়েছে নিউজিল্যান্ডের একটি কোম্পানি থেকে। নৌকাগুলো একই নিউজিল্যান্ড কোম্পানির মেরামত করার কথা থাকলেও তা হয়নি। কয়েকজন কর্মকর্তা বলছেন, রক্ষণাবেক্ষণের সময় কিছু ঠিকাদার ১৩টি স্পিড বোটের ইঞ্জিন বদলে পুরনো ও দুর্বল ইঞ্জিন দিয়েছিলেন। এই মামলার তদন্তের পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফএফআইও দায়ের করা হয়।