সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবার চরম বিপদে! মতুয়াদের মন্দির উড়িয়ে দেওয়া-প্রাণনাশের হুমকি লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম করে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : এন আর সি কার্যকর করলে উড়িয়ে দেওয়া হবে মতুয়াদের মন্দির! জ্বালিয়ে দেওয়া হবে সাংসদের বাড়ি। এমনকী খতম করে দেওয়া হবে তাঁর পরিবারকেও। বনগাঁর বিদায়ী বিজেপি সাংসদ তথা এবারও ওই কেন্দ্র থেকে পদ্ম প্রার্থীকে শান্তনু ঠাকুরকে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম করে এই হুমকি চিঠি দেওয়া হয়েছে। এদিকে গোটা বিষয়টি-ই তৃণমূলের কারসাজি বলেই তোপ দেগেছেন শান্তনু। আবার ‘পুরোটাই নাটক’ বলে পাল্টা সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে নিশানা করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর।

কী লেখা আছে সেই চিঠিতে? লস্কর-ই-তৈবা’র তরফে যে চিঠি এসেছে তাতে দেগঙ্গার এক ঠিকানা লেখা। দেগঙ্গারই এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। তাতে লেখা, ‘এনআরসির ফলে যদি সংখ্যালঘুদের ওপর কোনও অত্যাচার হয় তাহলে গোটা দেশ জ্বলবে। তার সঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের বাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া হবে।’

শান্তনুর ঠিক কি অভিযোগ- এই হুমকি চিঠি মিলেছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এ রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের দুরবস্থা যে এমন ঘটনা ঘটছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে পুলিশমন্ত্রী অথচ তাঁর রাজ্যেই একজন প্রাক্তন সাংসদকে জঙ্গিরা হুমকি চিঠি পাঠাচ্ছে।’ এই বিষয়ে যাতে কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ করে সেই আর্জিও জানিয়েছেন বনগাঁর বিদায়ী সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।

পাল্টা নিশানা শান্তনুকেও – তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর পাল্টা শান্তনু ঠাকুরকেই নিশানা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘পুরোটাই নাটক! শান্তনু ঠাকুর নিজে ভোটের জন্য এই নাটক করছে। রবিবার রাতে তাঁদের ওপর যে অত্যাচার করা হয়েছে, তা সমস্ত মতুয়া ভক্তরা দেখেছে। এখন নাটক করে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’

কী হয়েছিল রবিবার? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের বাড়িতে হামলা করার অভিযোগ উঠেছে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন মমতাবালা ঠাকুর। তৃণণূলের দাবি, মমতাবালা এবং তাঁর মেয়েকে সারারাত বাড়ির বাইরে থাকতে বাধ্য করেছে। এই ঘটনায় শান্তনু ঠাকুর সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *