নিষিদ্ধ হল জ্বর, সর্দি, অ্যালার্জি এবং ব্যথার ১৫৬টি ককটেল ওষুধ!

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : জ্বর, সর্দি, অ্যালার্জি এবং ব্যথার জন্য ব্যবহৃত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ওষুধ-সহ ব্যাপকভাবে বিক্রি হওয়া কমপক্ষে ১৫৬টি ফিক্সড-ডোজ কম্বিনেশন বা এফডিসি ওষুধ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার (২২ অগস্ট) এই নিষেধাজ্ঞআ জারি করা হয়েছে। কেন্দ্র বলেছে, এই ওষুধগুলি মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, তাই এগুলি নিষিদ্ধ করা হল। একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে দুই বা ততোধিক সক্রিয় ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদানগুলির সংমিশ্রণকে এফডিসি ওষুধ বলা হয়। চলতি কথায় এগুলি ককটেল ওষুধ হিসাবে পরিচিত। নিষেধের তালিকায় রয়েছে, ব্যথা উপশমকারী ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত জনপ্রিয় সংমিশ্রণ, অ্যাসিক্লোফেন্যাক ৫০ এমজি + প্যারাসিটামল ১২৫ এমজি (Aceclofenac 50mg + Paracetamol 125mg)।

নিষেধের তালিকায় আরও রয়েছে – মেফেনামিক অ্যাসিড + প্যারাসিটামল ইনজেকশন (Mefenamic Acid + Paracetamol Injection), সেটিরিজাইন এইচসিএল + প্যারাসিটামল + ফেনিলেফ্রিন এইচসিএল (Cetirizine HCl + Paracetamol + Phenylephrine HCl), লিভোসেট্রিজাইন + ফেনিলেফ্রিন এইচসিএল + প্যারাসিটামল (Levocetirizine + Phenylephrine HCl + Paracetamol), প্যারাসিটামল + ক্লোরফেনির্মাইন মালেট + ফেনিল প্রোপানোলামিন (Paracetamol + Chlorpheniramine Maleate + Phenyl Propanolamine) এবং ক্যামিলোফিন ডাইহাইড্রোক্লোরাইড ২৫ এমজি + প্যারাসিটামল ৩০০ এমজি (Camylofin Dihydrochloride 25mg + Paracetamol 300mg)।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “যেখানে উল্লিখিত ওষুধগুলির নিরাপদ বিকল্প পাওয়া যায়, সেখানে এই ফিক্সড ডোজ সংমিশ্রণ ওষুধের ব্যবহার মানুষের জন্য ঝুঁকির হতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার।” আরও জানানো হয়েছে, কেন্দ্র নিযুক্ত এক বিশেষজ্ঞ কমিটি বিষয়টি পরীক্ষা করেছে। এই কমিটিই এই এফডিসিগুলিকে অযৌক্তিক বলে জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “এফডিসি মানুষের জন্য ঝুঁকির হতে পারে। তাই বৃহত্তর জনস্বার্থে, ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট, ১৯৪০-এর ধারা ২৬ ক-এর ​​অধীনে এই এফডিসিগুলির উত্পাদন, বিক্রয় বা বিতরণ নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। এই প্রেক্ষিতে, রোগীদের ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য কোনও ধরনের প্রবিধান বা বিধিনিষেধ ন্যায়সঙ্গত নয়। তাই, ২৬ ক ধারার অধীনে শুধুমাত্র নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করা হয়েছে। জনস্বার্থে উল্লিখিত ওষুধগুলি মানব ব্যবহারের জন্য উত্পাদন, বিক্রয় এবং বিতরণ নিষিদ্ধ করা প্রয়োজনীয় এবং সমীচীন।”

তালিকায় এমন কিছু পণ্য রয়েছে যা ইতিমধ্যেই অনেক ওষুধ প্রস্তুতকারকরা তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছে। ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত এক বিশেষজ্ঞ প্যানেল বলেছিল, নির্মাতারা কোনও বৈজ্ঞানিক তথ্য ছাড়াই রোগীদের কাছে এফসিডি ওষুধগুলি বিক্রি করছে। এরপর, সরকার এই ধরনের ৩৪৪টি ওষুধের সংমিশ্রণ তৈরি, বিক্রয় এবং বিতরণের উপর নিষেধাজ্ঞার জারি করেছিল। ওই ৩৪৪টি ড্রাগ কম্বিনেশনের মধ্যে ১৪টি ২০২৩-এর জুনে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *