‘এখন নয়,  কাজে ফিরব’ নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিলেই, সুুপ্রিম কোর্টে  সুস্পষ্ট সওয়াল জুনিয়র ডাক্তারদের

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ :  কাজে ফিরতে হবে বিকেল ৫টার মধ্যে , গত সপ্তাহে ঠিক এই ভাষাতেই নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। কাজে ফেরা তো দূরের কথা, গত এক সপ্তাহে আন্দোলন নতুন মোড় নিতে দেখা গিয়েছে। নবান্ন থেকে কালীঘাট, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় অপেক্ষা করার পরও নিজেদের শর্ত বজায় রেখে বৈঠক থেকে বিরত থেকেছেন তাঁরা। অনেকেই ভেবেছিলেন, এই অবস্থায় পরবর্তী শুনানিতে আরও কড়া নির্দেশ দিতে পারে সুুপ্রিম কোর্ট।

আদতে দেখা গেল অন্য ছবি। গত শুনানিতে কপিল সিব্বল কাজে ফেরানোর জন্য জোরাল সওয়াল করেছিলেন। বিপক্ষে যুক্তি সেভাবে ধোপে টেকেনি বর্ষীয়ান আইনজীবীর সওয়ালের কাছে। সময় বেঁধে কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। কিন্তু এরই মধ্যে জুনিয়র ডাক্তাররাও দিয়েছেন নতুন চাল। তাঁদের আইনজীবী হিসেবে এদিন প্রথমবার সওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। নির্ধারিত সময় তো দূরের কথা, কাজে ফেরার প্রশ্নে কার্যত ‘না’ বলে দিলেন তিনি।

মঙ্গলবার শুনানি মাঝে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল আবারও প্রশ্ন তোলেন, “কবে কাজে ফিরবেন চিকিৎসকরা?” জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং এদিন বলেন, “চিকিৎসকরা কাজে ফিরতে চান। কিন্তু তাঁরা মনে করছেন, যারা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তারা এখনও হাসপাতালেই কাজ করছে। ফলে চিকিৎসকরা কাজে ফিরলেসময়  বিপদে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে।” আইনজীবী শীর্ষ আদালতে বলেন, “গ্যারান্টি দিন, কাজে ফিরে যাব। আমরা কাজে ফিরতে চাই। কিন্তু ফিয়ার সাইকোসিস কাজ করছে।”

এ কথা শুনে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিবৃতি দিয়েছেন। আর কী চাই?” কিন্তু  তাঁর সওয়াল কার্যত ধোপে টেকেনি ইন্দিরার সামনে। মুখ্যমন্ত্রী কী আশ্বাস দিয়েছেন, তা জানতে চান প্রধান বিচারপতি। সিব্বল জানান, চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, জেনারেল বডি মিটিং করেই কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং স্পষ্ট বলেন, “কবে জিবি মিটিং হবে, আমি তার কোনও ডেট দিতে পারছি না।” প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী নির্দেশ (কাজে ফেরার নির্দেশ) বহাল থাকছে, পরিবর্তন করা হচ্ছে না। তাঁর নির্দেশ কার্যকর করবেন কীভাবে, চিকিৎসকদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *