হিলিতে সোনার বিস্কুট সহ পাকড়াও এক তৃণমূল নেতা, ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়
নিজস্ব সংবাদদাতা : পায়ের সঙ্গে টেপ জড়িয়ে পাচার করছিলেন সোনার বিস্কুট। আর সেই অবস্থায় তল্লাশির সময় হিলি সীমান্তে বিএসএফের হাতে বমাল পাকড়াও এক তৃণমূল নেতা। ওই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। পুরো ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মাধ্যমে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হিলি থানার ভীমপুর বিওপির শ্রীরামপুর সীমান্তে হানা দেয় ৬১ নম্বর ব্যাটেলিয়ন বিএসএফের বিশেষ একটি দল। বেলা বারোটা নাগাদ ওই এলাকার সীমান্ত ফটকে তল্লাশি চালিয়ে ত্রিমোহিনীর এক বাসিন্দার শরীর থেকে সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। অন্তত ৩টি সোনার বিস্কুট বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিলেন ওই ব্যক্তি। পায়ের সঙ্গে টেপ জড়িয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা করছিলেন ধৃত সঞ্জয় মণ্ডল। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের ওজন প্রায় ৩৩০ গ্রাম। যার বাজার মূল্য ২৮ লক্ষ টাকারও বেশি বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান বিএসএফ আধিকারিকদের।
ওই ঘটনায় সোনা পাচারকারী ধৃত ব্যক্তিকে দফায় দফায় জেরাও করে বিএসএফ। জেরা শেষ হওয়ার পরে ধৃতের বিরুদ্ধে আইন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে শুল্ক দপ্তরে হস্তান্তর করা হবে বলে এদিকে বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে। সোনা পাচারে বিএসএফের হাতে পাকড়াও ব্যক্তি এলাকায় তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত। ধৃত শাসক দলের নেতার স্ত্রী দুই বারের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। এদিকে সোনা পাচারে বিএসএফ হাতে তৃণমূল নেতা পাকড়াও হতেই রাজনৈতিক মহলেও যথেষ্ট আলোড়নও তৈরি হয়েছে।
এদিকে বিএসএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে, গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচার রোধ করা সম্ভব হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। এহেন কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই দক্ষিণ দিনাজপুর এলাকায় হইচই পড়ে গিয়েছে। অনেকেই জানিয়েছেন অনেকদিন আগের থেকে এইসব ঘটনা ঘটে চলেছে, অথচ প্রশাসন নির্বিকার। এখনই যদি কড়া পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকেই যাবে।