‘জামতাড়া গ্যাং’ নিয়ে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী , রাজ্যের ডিজি-র কাছে বড় নির্দেশ গেল ট্যাব দুর্নীতি কাণ্ডের আবহে
বিগত কয়েকদিন ধরেই ট্য়াবকাণ্ডে তোলপাড় গোটা রাজ্য়। অ্য়াকাউন্টে ঢোকার আগেই গায়েব শ’য়ে শ’য়ে পড়ুয়ার ট্যাব কেনার টাকা। উদ্বেগের রাজ্যের সিংহভাগ জেলাতেই। মাঠে নেমেছে পুলিশ। জেলায় জেলায় চলছে ধরপাকড়। যদিও যাঁদের ট্যাবের টাকা গায়েব হয়েছে তাঁদের কাছে ফের দ্রুত টাকা পৌঁছে যাবে বলে আগেই আশ্বস্ত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশ্বস্ত করেছিলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকারও। এবার মমতার মুখে শোনা গেল জামতাড়া গ্যাংয়ের প্রসঙ্গও। নির্দেশ গেল রাজ্যের ডিজি কাছেও।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ বলেন, “রাজীব জেলায় জেলায় নির্দেশ দিয়ে দাও। প্রতি জেলায় একজন করে নোডাল অফিসার থাকবে। টাস্ক ফোর্সের বৈঠক করো। ১৬০০ কোটি টাকার ট্যাব আমরা দিই। ১৯০০-র মতো অ্যাকাউন্ট ফ্রড হয়েছে। জামতাড়া গ্যাং সকলের সঙ্গে মিশছে।” পুরো পরিস্থিতির উপর নজরদারি আরও বাড়ানোর পক্ষেই জোরালো সওয়াল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
প্রসঙ্গত, ট্যাবকাণ্ড সামনে আসার পর থেকে বারবার সামনে এসেছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার প্রসঙ্গ। গ্রেফতারির সংখ্যার নিরিখেও এগিয়ে রয়েছে এই এলাকা। জানা গিয়েছে, বহু ক্ষেত্রেই ‘সাধারণ’ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়ে চলেছে জালিয়াতি। নাম জড়িয়েছে একাধিক সাইবার ক্যাফের মালিকের। এর আগে আধার জালিয়াতেও নাম জড়িয়েছিল চোপড়ার। এবার ট্যাবকাণ্ডে নাম জড়াতেই অনেকেই ঝাড়খণ্ডের কুখ্যাত জামতাড়ার সঙ্গে তুলনা করতে শুরেছিলেন চোপড়ার। বিগত কয়েক দশকে একের পর এক সাইবার প্রতারণায় নাম জড়িয়েছে জামতাড়ার। এবার মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়র মুখে সেই জামতাড়ার প্রসঙ্গ শোনা যেতেই তা নিয়ে চলছে জোর চর্চা।