স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে মন্দিরে গিয়েছিলেন স্বামী, মাঝরাতেই এল এক চরম মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : এক মুহূর্তের মধ্য়ে বদলে গেল গোটা চিত্র। উৎসবের মাটিতে বয়ে গেল রক্তের ধারা। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম জেলায় চন্দনোৎসবের অনুষ্ঠান চলাকালীন দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল আট ভক্তের। কিন্তু পুজো-উৎসবের মাঝে হঠাৎ কীভাবে হল এমন বিপত্তি। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে বিশাখাপত্তনমের ওই এলাকায় ভেঙে পড়ে সিংহচলম মন্দিরের ভিতরের দেওয়াল। যাতে চাপা পড়ে প্রাণ যায় আট জনের।

তবে একটা সিদ্ধান্তের জন্য প্রাণ বেঁচে যায় এক মহিলার। ওই দিন রাতে মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন বিশাখাপত্তনম ইস্পাত কারখানায় কর্মরত ইয়েদলা ভেঙ্কটা রাও ও তার স্ত্রী। আপাতত দেওয়াল ধসে স্বামীর মৃত্যু হলেও, প্রাণ বেঁচে গিয়েছে স্ত্রীর। পরিবার সূত্রে খবর, প্রথমে স্ত্রীয়ের সঙ্গে গিয়ে পুজো দর্শন করে ফিরে আসার কথা ছিল রাও-এর। কিন্তু মন্দিরে গিয়ে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে ঘণ্টাখানেক সেখানেই স্ত্রীকে নিয়ে থেকে যান তিনি। পরে রাত বেড়ে যাওয়ার কারণে স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে আবার নিজে বন্ধুদের কাছে চলে যান রাও। তারপরেই ঘটে বিপত্তি। সেখানেই দেওয়াল ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তার। এদিকে মন্দির ভেঙে পড়ার কথা প্রথম জানতে পারে তাদের আত্মীয়রা। টিভিতে খবর দেখতে গিয়ে মৃত্যুর তালিকায় উঠে আসে ভেঙ্কটা রাও-এর নাম। সেই আত্মীয় জানান, ‘রাও-এর নাম নজরে আসে খবর দেখতে গিয়ে। তখনই বোনকে ফোন করি। ও আমাকে তড়িঘড়ি ওদের বাড়ি ডেকে নেয়।’

প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পর শোকপ্রকাশ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও। এমনকি, মৃতদের পরিবার পিছু দু’লক্ষ টাকা ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে ঘোষণা করেছেন তিনি। কিন্তু কীভাবেই বা এমন দুর্ঘটনা ঘটল? যে দেওয়ালটি ভেঙে পড়েছে, তার উচ্চতা কমপক্ষে ২০ ফুট। এত শক্তপোক্ত একটা দেওয়াল কীভাবেই বা ভেঙে পড়তে পারে, সেই নিয়ে আপাতত তদন্তে নামে বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *