খাদ্যপণ্যের অন্যায্য মূল্যবৃদ্ধি রুখতে বিশেষ তৎপরতা যুদ্ধের আবহে , আজ নবান্নে জরুরি বৈঠক ডাকলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতির আবহে যাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা পকেট ভরার সুযোগ না পায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের দাম যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, তা নিশ্চিত করতেই আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নবান্নে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক হবে বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। বুধবার সন্ধ্যায় নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই ঘোষণা করেন। রাজ্য সরকারের তরফে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এক বিশেষ টাস্ক ফোর্স রয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা শোনার পরপরই সরকারের পক্ষ থেকে সেই টাস্ক ফোর্স সদস্যদের বৈঠকে যোগ দিতে বলা হয়। পাশাপাশি ডাকা হতে পারে রাজ্যের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদেরও। উপস্থিত থাকবেন প্রশাসনের শীর্ষকর্তা এবং পুলিশ আধিকারিকরাও।

টাস্ক ফোর্সের সদস্য এবং ব্যবসায়ী মহল জানাচ্ছেন, আপাতত রাজ্যে খাদ্যপণ্যের বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল। ডাল, চিনি, তেল, মশলা— কোনও কিছুরই ঘাটতি নেই। গরমের আবহাওয়া অনুকূল থাকায় সবজির জোগানও স্বাভাবিক। এই অবস্থায় আপাতত বাজার দর নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। কিন্তু, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কিছু মধ্যসত্ত্বাভোগী যাতে নিজেদের আয় বাড়াতে এই সুযোগকে কাজে না লাগায়, সেই জন্য তৎপর রয়েছেন তারা। তারা এমনটাও মনে করছেন, আলুর দামে এবার চাপ কম থাকতে পারে । গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আলুর ফলন ভালোই হয়েছে। তাঁদের দাবি, এই বছর রাজ্যের হিমঘরগুলিতে ৭৪ লক্ষ টনেরও বেশি আলু মজুত হয়েছে— যা সর্বকালীন রেকর্ড। ইতিমধ্যেই হিমঘর থেকে আলু বাজারে আসা শুরু করেছে। বেশি মজুত থাকায় দাম বাড়িয়ে মুনাফা করার সুযোগ নেই বলেই মতো ব্যবসায়ীদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, হিমঘর থেকে সাধারণ জ্যোতি আলু ১৫ -১৬ টাকা কেজি দরে ছাড়া হচ্ছে। খুচরো বাজারে সেই আলুর দাম ২২ টাকার আশপাশে ঘোরাফেরা করছে।

স্বস্তি মিলেছে পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও। রাজ্যে ভাল ফলন হওয়ায় বহু জায়গায় ২০ টাকারও কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে খোলাবাজারে। সাম্প্রতিক সময়ে খোলা বাজারে চালের দাম কিছুটা বেশি। এটা এই মুহূর্তে টাস্ক ফোর্সের সদস্যদেরও নজরে এসেছে। সেই ক্ষেত্রে আজকের আলোচনায় চালের দাম নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সেটাই এখন চিন্তার প্রধান কারণ। টাস্ক ফোর্সের একাধিক সদস্যও মনে করছেন, চালের দামের উপর কড়া নজর রাখা জরুরি। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং আগেভাগেই কোনও অশান্তির ঝুঁকি ঠেকাতে এই বৈঠক, বলেই মত প্রশাসনের একাংশের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *