কাশ্মীরি ছাত্রদের তথ্য চাওয়া নিয়ে তুমুল বিতর্ক দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে, অভিযোগ উঠলো এমনকি পক্ষপাতিত্ব ও গোপনীয়তা লঙ্ঘনেরও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর অফিস কাশ্মীরি ছাত্রদের কাছ থেকে আধার নম্বর ও দিল্লিতে তাদের বাসস্থানের তথ্য চেয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করায় উঠেছে তীব্র প্রতিবাদ। অভিযোগ, এটি কাশ্মীরি ছাত্রদের গোপনীয়তার লঙ্ঘন এবং বৈষম্যমূলক আচরণের প্রকাশ। জম্মু ও কাশ্মীর স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় আহ্বায়ক নাসির খুইহামি বলেন, “আমরা আগে থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে টার্গেট হচ্ছি। এই নির্দেশ আতঙ্ক আরও বাড়াচ্ছে। সরকার যেখানে একত্রিকরণের কথা বলছে, সেখানে এই ধরনের পদক্ষেপ আমাদের পৃথক করে দিচ্ছে।”

এদিকে সংগঠনটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি পাঠিয়ে তিনটি দাবি জানিয়েছে:
১. এই নির্দেশিকা অবিলম্বে প্রত্যাহার।
২. দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় যেন আনুষ্ঠানিকভাবে এই ধরনের পদক্ষেপ থেকে সরে আসে।
৩. ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেন জাতিগত বা আঞ্চলিক প্রোফাইলিং না করে—সেজন্য
কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা জারি।
প্রোক্টর রাজনি আব্বি দাবি করেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের টেলিফোন নির্দেশে এই তথ্য চাওয়া হয়েছে, যদিও কোনো লিখিত নির্দেশ নেই। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ ভারতের সংবিধানের ২১ ও ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থী এবং এটি একপ্রকার “সমষ্টিগত শাস্তি”। অপরদিকে জেএনইউ, জামিয়া ও আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের কোনো নির্দেশ এখনও দেওয়া হয়নি, তবে কিছু কাশ্মীরি ছাত্র জানিয়েছেন, পুলিশ তাদের ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চেয়েছে।