কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে অবশেষে ইউনিয়ন রুম-ওয়াশরুম-গার্ড রুম থেকে নমুনা সংগ্রহ করলো ফরেনসিক টিম

বেস্ট কলকাতা নিউজ : কসবায় কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ কাণ্ডে ঘটনাস্থল থেকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। ওই নমুনার রিপোর্টে পেলেই তদন্তকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে ও দোষীকে খুঁজে পেতে সাহায্য হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ সেইসঙ্গে নির্যাতিতার কাছ থেকে এক নিরাপত্তা রক্ষীর কথা জানা গিয়েছে ৷ তিনি ঘটনাস্থলে সেদিন হাজির ছিলেন ৷

এদিকে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি কলকাতা নগরপাল মনোজ কুমার ভার্মা-সহ কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য দক্ষিণ কলকাতার ল কলেজে পৌঁছন ৷ পুরো বিষয়টি ভালোভাবে তদারকি করেন মনোজ কুমার ভার্মা-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে ওই নির্যাতিতা পুলিশকে যে বয়ান দিয়েছেন তার উপর ভিত্তি করে সংশ্লিষ্ট কলেজের প্রথমে ইউনিয়ন রুম পরে ওয়াশরুম এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের ঘর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। এই বিষয়ে অবশ্য কলকাতা পুলিশের নগরপাল মনোজ কুমার ভার্মা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে ৷ পুলিশের কাছে ওই নির্যাতিতা তরুণী দাবি করেছেন, ওই দিন সন্ধে সাড়ে সাতটা থেকে রাত পৌনে এগারোটার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, ওই তরুণী দাবি করেছেন , অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র প্রথমে তাঁকে কলেজের সামনে থেকে ভয় দেখিয়ে ইউনিয়ন রুমের ভিতরে নিয়ে যান । সেই সময় হকি স্টিক দিয়ে তাঁকে মারধর করা হবে বলে প্রথমে ভয় দেখানো হয় । পরবর্তীতে অভিযুক্ত এমনটাই করে ৷

এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের কাছ থেকে মোট তিনটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছেন। তদন্তের এই উদ্ধার হওয়া তিনটি মোবাইল ফোন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ৷ কারণ, এখানেই অপরাধের ভিডিয়ো ফুটেজ রাখা রয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ একাধিকবার ওই নির্যাতিতা তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছেন ৷ তাঁর বয়ান রেকর্ড এবং নথিবদ্ধ করেছেন। ওই নির্যাতিতা পুলিশে দায়ের করা অভিযোগ পত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজের এক নিরাপত্তা রক্ষীর নাম উল্লেখ করেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এই বিষয়ে পুলিশ একেবারেই কোনও মন্তব্য করতে চাইছে না।