বিশ্বজুড়ে ক্রমশ বাড়ছে কৃত্রিম হীরের চাহিদা, অনেকটা কমতে পারে আসল হিরের দাম
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বিশ্বজুড়ে কাটা এবং পালিশ করা হিরের চাহিদা ক্রমশ কমছে। পাশাপাশি, ল্যাব-গ্রউন তুলনামূলক সস্তা হিরের ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং মার্কিন শুল্কের কারণে ভারতীয় হিরে শিল্প দ্বিগুণ চাপের সম্মুখীন হতে পারে। রেটিং সংস্থা ICRA-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৬ অর্থবছরে কাটা এবং পালিশ করা হিরে রফতানি ৭ থেকে ১০ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২৫ অর্থবছরে এই হ্রাস ছিল ১৭ শতাংশ। তারপর থেকে এই খাতের জন্য পূর্বাভাস নেতিবাচক রয়ে গিয়েছে।

কাটা এবং পালিশ করা হিরের রফতানি ২০ বছরের সর্বনিম্ন: ICRA-এর প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে যে কাটা এবং পালিশ করা হিরে রফতানি ২০ বছরের সর্বনিম্ন 13.3 বিলিয়ন নেমে এসেছে, যা FY25-তে। বিশ্বব্যাপী সামগ্রিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং সস্তা ল্যাবে তৈরি হিরের প্রতি উপভোক্তা বা ক্রেতাদের ক্রমবর্ধমান পছন্দের কারণে এটি প্রভাবিত হয়েছে। ল্যাবে তৈরি হিরে এখন পলিশ করা হিরে রফতানির 8 শতাংশ, যা ২০১৯ সালে মাত্র ১ শতাংশ ছিল।
এছাড়াও, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ২৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে ভারত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ভারতের কাটা এবং পালিশ করা হিরে রফতানির এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি উৎপাদনকারী একটি প্রধান বাজার হল আমেরিকা। যদিও বর্তমানে ১০ শতাংশ অন্তর্বর্তী শুল্ক আরোপের মাধ্যমে এটি এড়ানো গিয়েছে, তবুও রফতানিকারকরা এখনও চিন্তিত। অনেক ভারতীয় কোম্পানি এখন শুল্কের প্রভাব কমাতে দুবাই এবং বেলজিয়ামের মতো কম শুল্ক কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে পণ্য পরিবহণের রুট পরিবর্তন করছে।
দামে বিরাট পতনের আশঙ্কা: এদিকে, ২০২৫ অর্থবছরে রুক্ষ (আনপলিশড ডায়মন্ড) হিরের দাম 8 শতাংশ এবং পালিশ করা হিরের দাম 7 শতাংশ হ্রাস পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে, ডি বিয়ার্স উৎপাদন কমানোর কারণে রুক্ষ হিরের দাম সীমিত পরিসরে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। রেটিং সংস্থা বিশ্বাস করে যে নিকট ভবিষ্যতে হিরে শিল্পের ক্রেডিট প্রোফাইল দুর্বল থাকতে পারে।
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বিশ্বজুড়ে ক্রমশ বাড়ছে কৃত্রিম হীরের চাহিদা, অনেকটা কমতে পারে আসল হিরের দাম