জীবন এবং কবিতা পরিপূরক আমার কাছে, এমনটাই জানালেন বিশিষ্ট কবি তথা সমাজ কর্মী পৃথা সেন
নিজস্ব সংবাদদাতা : জীবন আমার কাছে সুন্দর। জীবনে আমি যা যা কিছু পেয়েছি যা কিছু অর্জন করেছি সব কৃতিত্ব ঈশ্বরের কাছে। হ্যাঁ পৃথা সেনের জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক এরকমই। তার কবিতা শুনলে মনে হবে জীবনের বাস্তব গুলো যেন চোখের সামনে চলে আসছে। প্রতিটা মুহূর্তে , পৃথা সেন জানালেন আমি যখন পড়াই আমি তার মধ্যেই ঢুকে যাই , আমার কাছে ছাত্র-ছাত্রীরা সন্তানের মত। ঠিক কবিতা ঐরকম , যখন আমি কবিতা বলতে শুরু করি তখন মনে করি এটাই আমার কাছে ভালোলাগা এবং ভালোবাসার মুহূর্ত। এরকমই পৃথা সেন লড়াই করে যিনি চলতে ভালবাসেন। জানালেন জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করে চলতে চাই আমি, এটাই তো মজা । আমার মেয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য লড়াই করছে, সে আমার সন্তান , সে আমার গর্ব । কেউ আমার মত হতে চাইলে এর চাইতে আনন্দের আর কিছুই থাকতে পারে না , বক্তব্য পৃথা সেনের ।

তিনি আরও জানান বর্তমান সমাজে এত ব্যস্ততার মধ্য আমি আমার কবিতাকে বাঁচিয়ে রেখেছি আমার মনের অন্তর থেকে। সত্যিই ব্যস্ত তিনি সোম থেকে শনিবার স্কুল, নিজের নতুন ইউটিউব চ্যানেল এবং কবিতা, এছাড়া সংসার তো আছেই, অনেক ধরনের সামাজিক কাজকর্মের সাথেও জড়িত তিনি। তিনি এও জানান মানুষের পাশে দাঁড়ানোটা আমার একটা নেশা, তবে তার জন্য আমি ছবি তুলে দেখানো একেবারেই পছন্দ করি না। অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়ে যদি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে হয় বা সবাইকে জানাতে হয় তার থেকে কোন সেবা না করাই ভালো। ” সেবা করো নীরবে “। এটাই আমার দৃষ্টিভঙ্গি এমনটাই জানালেন পৃথা সেন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেক কিছু থেকে সরে আসতে হয় , আমি এখন প্রচন্ড ব্যস্ত সময় দিতে পারি না , তবুও তার মধ্য থেকে চেষ্টা করি জীবনের প্রতিটা মুহূর্তকে কাজে লাগাতে। আমি মনে করি এটাই সঠিক, পৃথা সেন কখনো হার মানেনি , জীবন যুদ্ধে সবসময় এগিয়ে যেতে শিখেছে , আর আমিও সব সময় সেটা বলি। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আমি চলতে চাই, অবশ্যই বর্তমানে পা রেখে । আমার কাছে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ দুটোই মূল্যবান , জানালেন পৃথা সেন । তিনি আরো বলেন আমার কবিতার মাধ্যম দিয়ে কেউ যদি আনন্দ পায় তবে চার চাইতে বড় আনন্দ আমি হয়তো পাবো না । আমি যদি আমার মূল্যবোধকে জাগিয়ে রেখে সামনে এগোতে পারি তবেই আমি বুঝবো আমি সফল , আমার স্বামী আমার সন্তান এবং আমি এভাবেই চলতে চাই নিজের জন্য এবং সকলের জন্য।