পটনায় গ্যাংস্টার খুনের ঘটনায় সামনে এলো বাংলার যোগ ! নিউটাউন থেকে আটক হল একাধিক আততায়ী

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : পটনায় গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্র খুনের ঘটনায় এবার পশ্চিমবঙ্গ যোগ । পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের পর আততায়ীরা এরাজ্যে এসে নিউটাউনে গা ঢাকা দিয়েছিল । পটনা পুলিশ এবং বেঙ্গল এসটিএফের গোয়েন্দাদের যৌথ গোপন অভিযানে সেখান থেকে শনিবার সাত সকালে বেশ কয়েকজনকে ওই ঘটনায় যুক্ত থাকা সন্দেহে আটক করা হয়েছে ।

মূলত তাদের ফোন ট্রাক করে এখানকার লোকেশন পেয়েছেন তদন্তকারীরা ৷ তারপরেই অভিযুক্তদের নিউটাউন থেকে আটক করা হয় বলে জানা গিয়েছে ৷ এই বিষয়ে বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি(নিউটাউন) মানব সিংলা ইটিভি ভারতকে বলেন, “পটনা পুলিশ এখানে এসেছে ৷ গ্যাংস্টারের খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকা সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা ৷”

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সকালে বিহারের পটনায় গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্রকে খুনের ঘটনাটি ঘটে ৷ সিসিটিভি ফুটেজে একটি হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পাঁচ দুষ্কৃতীকে তার উপর দেদার গুলি চালাতে দেখা যায় । সেসময় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিল পেরোলে থাকা কয়েদি চন্দন মিশ্র ৷ তখন তার উপর হামলা চালানো হয় ৷ পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হলে বাঁচানো সম্ভব হয়নি ৷ সেখানে তার মৃত্যু হয় ৷

গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্র খুনের ঘটনায় তদন্তে নামে পটনা পুলিশ ৷ তদন্তকারীদের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, এই ঘটনার সঙ্গে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া সংশোধনাগারে বন্দি অপর এক গ্যাংস্টার শেরু সিংয়ের যোগ রয়েছে । ফলে এই ঘটনা তদন্ত করতে পটনা পুলিশ এই রাজ্যে আসে । তারপরেই এদিন সকালে এই সাফল্য বলে জানা গিয়েছে । গ্যাংস্টার খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকা সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে নিউটাউন থেকে আটক করা হয় ৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কুখ্যাত দুষ্কৃতী চন্দন মিশ্র কিছুদিন আগেই প্যারোলে মুক্তি পায় । তারপরে সে বিহারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল । তার বিরুদ্ধে ২৪ টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে । তার মধ্যে ১২ টি খুনের মামলা । পুলিশের নিরাপত্তায় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল চন্দনের ।ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৭ টায় দুষ্কৃতীরা হাসপাতালে ঢোকে । তারপর চন্দনকে গুলি করে খুন করার পর হাসপাতাল ছাড়ে । দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় ছ’জন ছিল বলে জানতে পারে পুলিশ । পাঁচজন হাসপাতালে ঢোকে ও একজন হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *