কসবা ল’ কলেজে নিরাপত্তার দায়িত্বে এবার প্রাক্তন সেনাকর্মী, পরিচালন কমিটির বৈঠকে গৃহীত হল এমনকি একাধিক সিদ্ধান্ত
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের গণধর্ষণের ঘটনার পর নড়েচড়ে বসল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার কলেজে পরিচালন সমিতির বৈঠকে কলেজে নিরাপত্তা রক্ষীর জন্য এবার প্রাক্তন সেনা কর্মীদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে দু’জন অস্থায়ী কর্মীকে আর নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷
কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিতের সঙ্গেই অস্থায়ী কর্মী হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমিত অধিকারী। তাঁদেরকে আর কাজে না-রাখার সিদ্ধান্ত হয় পরিচালন সমিতির বৈঠকে ৷ বৈঠকের সভাপতি অশোক দেব বলেন, “গাইডলাইন মেনে কলেজের ইন্টারনাল কমপ্লেন কমিটি গঠন হবে । বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে কলেজে আরও বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। ই-টেন্ডার ডেকে কতগুলো সিসিটিভি লাগানো হবে, তা স্থির করা হবে।”

সিসিটিভি লাগানোর প্রক্রিয়া ১৫ অগস্টের মধ্যে হয়ে যাবে বলে জানালেন কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি অশোক দেব। তিনি আরও জানান, যদিও এখনও কলেজের দেওয়ালে মনোজিতকে নিয়ে নানা স্লোগান এখনও লেখা রয়েছে । এই সব লেখা সব মুছে ফেলা হবে। কলেজের দেওয়াল রং করার কাজ দু-একদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে।
গত ২৫ জুন রাতে দক্ষিণ কলকাতার ল’ কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ৷ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত, ওই কলেজেরই প্রাক্তনী এবং বর্তমানে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে যুক্ত ছিল মনোজিৎ মিশ্র ৷ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে এরপর। কলেজ চত্বরে তার প্রভাব চলত বলে কলেজের বাকি ছাত্রছাত্রীরা অভিযোগ তুলেছেন ৷ অন্যদিকে, ঘটনার পর কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল অনির্দিষ্টকালের জন্য। তারপর ৭ জুলাই থেকে ফের কলেজ শুরু হয় ৷ ১৬ জুলাই থেকে পরীক্ষা শুরু হয় ৷ ওই পরীক্ষাতেও অংশ নিয়েছিলেন নির্যাতিতা।