মন্দির আছে, অথচ নেই কোনো দেবতা, এখানে পূজিত হন কেবল মাত্র দেশের বীর শহিদরা

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : দেশ তাঁদের কাছে ছিল মায়ের মতো ৷ পরাধীনতার অন্ধকারে বেঁচে থাকা ‘মায়ের’ জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন দেশের দামাল যুবক-যুবতীরা ৷ তাঁদের কথা স্মরণ করা প্রতিটি দেশবাসীর কাছে এক পবিত্র কর্তব্য় ৷ এবার সন্ধান মিলল এমন এক মন্দিরের যেখানে কোনও দেব-দেবীর পুজো হয় না ৷ নেই মূর্তিও ৷ মন্দিরটি সম্পূর্ণ উৎসর্গ করা হয়েছে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের শহিদদের জন্য ৷ হরিয়ানার যমুনানগর জেলায় রয়েছে এই বিশেষ মন্দির ৷ এখানে দেবতার পরিবর্তে শহিদদের পুজো করা হয়। স্থানীয় গুমথলা রাও গ্রামে শহিদদের কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে এই ‘ইনকিলাব মন্দির’। মন্দিরে প্রায় ২৫০ জন শহিদের মূর্তি ও ছবি রয়েছে ৷

মন্দিরটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৷ ইনকিলাব শহিদ স্মারক চ্যারিটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ভারিয়াম সিং এই মন্দির নির্মাণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “প্রথমে শহিদ ভগত সিংয়ের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে এই মন্দিরে প্রায় আড়াই’শো শহিদের মূর্তি ও ছবি স্থাপন করা হয়েছে। ভগত সিংয়ের পাশাপাশি সুখদেব, রাজগুরু, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, মঙ্গল পাণ্ডের মতো বহু বিপ্লবী মূর্তি এখানে আছে।”

এটি দেশের একমাত্র মন্দির যা শুধুমাত্র শহিদদের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে। দেশের অন্য কোনও রাজ্যে এই ধরণের মন্দির তৈরি হয়নি বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। এখানে শহিদদেরই পুজো করা হয়। অন্য রাজ্য থেকেও মানুষ এই মন্দিরে শহিদদের পুজো করতে আসেন। এই বিষয়ে ভারিয়াম জানান, মন্দিরটি দেখতে কেবল হরিয়ানা থেকে নয়, অন্যান্য রাজ্য থেকেও হাজার হাজার মানুষ এখানে আসেন ৷ শহিদদের শ্রদ্ধা জানান। দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকদের জন্য এখানে বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। যমুনানগরের ইনকিলাব মন্দিরে প্রতিটি ধর্মের মানুষই আসতে পারেন ৷ এই গ্রামে বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষ বাস করেন। ঠিক সেই প্রেক্ষাপট থেকেই এই মন্দিরটি এই গ্রামে ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠছে ৷ হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, মুসলিম সকল ধর্মের মানুষ শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে এই মন্দিরে আসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *