করোনা ভাইরাস মুক্ত লাক্ষাদ্বীপ! কিন্তু কীভাবে সম্ভব হল? জেনেনিন একবার
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বৃহস্পতিবার সকালে সারা দেশে সংখ্যাটা ৯ লক্ষ ৭০ হাজারের মতো দাঁড়ালো করোনায় আক্রান্তের নিরিখে। এর মধ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যাতা হয়েছে ৩ লক্ষ ৩১ হাজার। প্রায় ৬ লক্ষ ১৪ হাজারের মতো মানুষ এখনো পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপ নেই এইসব সংখ্যাতত্ত্বের মধ্যে। এখন যা মুক্ত করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ থেকে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যখন প্রায় প্রতি দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে , ঠিক সেই সময় করোনা মুক্ত লাক্ষাদ্বীপ। এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও জানিয়েছে, অনুমতি দেওয়া হোক সেখানকার স্কুলগুলিকে খোলার জন্য। ৩৬ টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত লাক্ষাদ্বীপের মানুষের বসতি রয়েছে ১০ টি দ্বীপে।
৬৪ হাজারের মতো লাক্ষাদ্বীপের বর্তমান লোকসংখ্যা । কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্ত করতে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে সেখানকার প্রশাসন। যার মধ্যে রয়েছে, স্ট্রিক্ট অ্যাকসেস কন্ট্রোল, দীর্ঘ কোয়ারেন্টাইন পিরিওয়ড, কমপ্রিহেনসিভ সিম্পটোম্যাটিক টেস্টিং এর মতো পদক্ষেপ। সেখানে এখনও পর্যন্ত ৬১ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের জন্য লাক্ষাদ্বীপকে চেয়ে থাকতে হয় ভারতের মূল ভূখণ্ডের দিকেই।
সেখানকার স্বাস্থ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, একেবারে শুরুতেই নেওয়া হয়েছিল নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা। সেই সময়েই পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয় দ্বীপপুঞ্জে করোনার সংক্রমণ আটকাতে। তা না হলে অসুবিধায় পড়তে হত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়েও বলে তিনি জানিয়েছেন। শুরুতেই স্ক্রিনিং করা হয়েছে দ্বীপপুঞ্জে যাওয়া যাত্রীদের। কোচি বিমানবন্দর থেকেও প্রিবোর্ডিং স্ক্রিনিং শুরু করা হয়েছিল বলেও তিনি জানিয়েছেন। কেউ লাক্ষাদ্বীপে যেতে চাইলে সেই সময় থেকেই সাতদিনের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হত তাঁকে। এছাড়াও অতিরিক্ত হিসেবে যাঁরা আগাত্তি বিমানবন্দরে গিয়েছেন, তাঁদেরকে এমনকি থাকতে হয়েছে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে। কোচির ২ হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকাদের খরচও পর্যন্ত বহন করেছে প্রশাসন। এককথায় নিষেধাজ্ঞা বলবত করা হয়েছে দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশের ক্ষেত্রে।কারোর সেখানে প্রবেশের আগে আসতে হয়েছে প্রশাসনের নজরদারিতে।