১ মহিলা ডাক্তারের চরম অস্বাভাবিক মৃত্যু হল তমলুকে, অবশেষে তদন্তে নামলো পুলিশ
বেস্ট কলকাতা নিউজ : তমলুকে এক মহিলা চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল শালগেছিয়ায় ভাড়া বাড়িতে । মৃতের নাম শালিনী দাস(২৯)। তাঁর বাড়ি দমদমে। তিনি নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অ্যানাসথেটিস্ট ছিলেন। ১০দিন আগে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাঁকে ডেপুটেশনে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠান। সেখানেই ডিউটি করতেন। এর পাশাপাশি মহিষাদল এবং তমলুকে কয়েকটি নার্সিংহোমেও প্র্যাক্টিস করতেন। অবিবাহিত শালিনীদেবী মা কবিতা দাসকে নিয়ে তমলুকে ভাড়াবাড়িতেই থাকতেন।

এদিন সকাল ৭টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে মহিষাদলের একটি নার্সিংহোমে যান। সেখান থেকে ফিরে তমলুকের একটি নার্সিংহোমে যান। সকাল ১১টা নাগাদ বাড়ি ফিরে আসেন। সেই সময় তাঁর হাতে চ্যানেল করা ছিল। এরপর তিনি বাথরুমে যান। বাড়িতে থাকা কাজের মাসির কাছ থেকে বাথরুম থেকে পরার পোশাকও নেন। তারপর বাথরুমেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তিনি পড়েছিলেন। তড়িঘড়ি তাঁকে তমলুক শহরের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থা দেখে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ভর্তি নিতে রাজি হননি। এরপর তাঁকে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরেই ওই চিকিৎসক অসুস্থ ছিলেন। এই অবস্থায় কোন নার্সিংহোমে তাঁর হাতে চ্যানেল করা হয়েছিল তা পরিষ্কার হয়। এদিন বিকালে তমলুক থানার আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষ এবং মহিলা পুলিশের এক টিম ওই চিকিৎসকের বাড়ি যান। সেখান থেকে চিকিৎসকের ব্যবহৃত পোশাক, মাস্ক এবং ওষুধ সংগ্রহ করেন। মৃতের মা কবিতা দাস কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, মেয়ে বেঁচে নেই আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। কীভাবে মেয়ে মারা গেল কিছুই বুঝতে পারছি না।