হলদিয়া পেট্রকেমে দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু, অভিযোগ উঠলো সুরক্ষায় গাফিলতির
বেস্ট কলকাতা নিউজ : হলদিয়া পেট্রকেমে কর্মরত অবস্থায় এক ঠিকা শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত শ্রমিকের নাম সুব্রত মাইতি(৪৯)। তাঁর বাড়ি সুতাহাটার চৈতন্যপুরের গোবিন্দপুরে। পেট্রকেমের ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্টে সোমবার সন্ধ্যায় এক দুর্ঘটনায় ওই শ্রমিক গুরুতর জখম হন। ওইদিন রাতেই হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। কয়েক দিন আগে ওই শ্রমিক পেট্রকেমে এক ঠিকাদারের অধীনে ফ্যাব্রিকেটর হিসেবে কাজে যোগ দেন। দুর্ঘটনার পর মঙ্গলবার পেট্রকেমে তদন্তে যান হলদিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অব ফ্যাক্টরিজ দেবায়ন দে। শ্রমিক মৃত্যুর পরই পেট্রকেমে শ্রমিক সুরক্ষায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। ফ্যাক্টরি ইন্সপেক্টর জানান শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।

ঠিকা শ্রমিকদের আরও অভিযোগ, গত কয়েক মাসে পেট্রকেমে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, ওই দুর্ঘটনাগুলি প্রশাসনের নজরে না এনে আড়াল করার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। পলিমার প্ল্যান্ট, কুলিং টাওয়ার, নির্মিয়মান ফেনল প্ল্যান্ট এরিয়াতে একের পর এক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন শ্রমিকরা। মাসখানেক আগে পলিমার প্ল্যান্টে কোনও একটি হপারে কাজ করার সময় ঝলসে যান দু’জন শ্রমিক। এদের মধ্যে একজন শ্রমিকের অবস্থা গুরুতর। তিনি এখনও চিকিৎসাধীন। কয়েকদিন আগে কর্মরত অবস্থায় এক শ্রমিকের পিঠে হুক বিঁধে যায়। কুলিং টাওয়ারে কাজের সময় কোমর ও ঘাড়ে গুরুতর চোট পেয়ে কিছুদিন আগে এক শ্রমিক চিরতরে পঙ্গু হয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। ঠিকাদারদের গাফিলতিতে প্রায়ই বিভিন্ন সাইটে ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, ঠিকা শ্রমিক বলেই এই ধরনের ঘটনাগুলি প্রশাসনের বা ফ্যাক্টরি ইন্সপেক্টরের নজরে আসে না। দুর্ঘটনা ঘটলেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ভয়ে ঠিকাদার ও পেট্রকেম কর্তৃপক্ষ তা চেপে দেওয়ার চেষ্টা করে।

