মুর্শিদবাদের সামশেরগঞ্জে বাবা ও ছেলেকে নৃশংস খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হল ১৩ জন অভিযুক্তের

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : মুর্শিদবাদের সামশেরগঞ্জে বাবা ও ছেলেকে নৃশংস খুনের ঘটনার ৮ মাস ১০ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা হল। সোমবার ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতের বিচারক অমিতাভ মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও তিনমাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন সাজা ঘোষণার জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা আদালত চত্বরে নিরাপত্তা ছিল আঁটোসাঁটো। প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের সময় খুন হয়েছিলেন সামশেরগঞ্জের হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাস। বাড়িতে ঢুকে তাঁদের নৃশংসভাবে খুন করা হয়।

সোমবার আদালত অভিযুক্ত দিলদার নদাব, আসমাউল নদাব ওরফে কালু, এনজামুল হক ওরফে বাবলু, জিয়াউল হক, ফেকারুল শেখ ওরফে মহক, আজফারুল শেখ ওরফে বিলাই, মনিরুল শেখ ওরফে মনি, একবাল শেখ, নুরুল ইসলাম, সাবা করিম, হজরত শেখ ওরফে হজরত আলি, আকবর আলি ওরফে একবর শেখ ও ইউসুফ শেখকে দোষী সাব্যস্ত করে। এদিন তাদের সাজা ঘোষণা হয়। আদালত এই রায়ে ডিএনএ প্রমাণের উপরও গুরুত্ব দিয়েছে। অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্রে লেগে থাকা রক্তের ডিএনএ-র সঙ্গে মৃত ব্যক্তিদের ডিএনএ মিলে গিয়েছে। এদিন খুনের মামলার তদন্তে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য সিটের সদস্যদের সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিনন্দন জানালেন রাজ্য পুলিশের এডিজি(সাউথ বেঙ্গল) সুপ্রতীম সরকার। তিনি বলেন, ‘গোটা দেশে এটা দ্বিতীয় মামলা যেখানে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের সাজা দেওয়া সম্ভব হল।’

উল্লেখ্য, ডিআইজি(মুর্শিদাবাদ রেঞ্জ) ওয়াকার রাজার নেতৃত্বে গঠিত সিট এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ করে ৫৬ দিনের মাথায় চার্জশিট দেয়। এই নৃশংস খুনের মামলার এফআইআরে প্রথমে পাঁচজনের নাম থাকলেও তদন্তে নেমে সিট ১৩ জনের যোগসূত্র খুঁজে পায়। এরপরই ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বীরভূম, হাওড়া, ফরাক্কা, জঙ্গিপুরে অভিযান চালিয়ে পলাতকদের গ্রেফতার করে সিট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *