নাবালিকার বিয়ে আটকাল পুলিশ প্রশাসন
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বসিরহাট মহাকুমার হাসনাবাদ থানার আমলানি গ্রামের ঘটনা। বছর পনেরোর এক নাবালিকার বিয়ে ঠিক হয়েছিল পাশের গ্রাম হরিপুরের যুবক আবিদ মিস্ত্রির সঙ্গে, আবিদ পেশায় সেলাই মিস্ত্রি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তোকিপুর রাজলক্ষ্মী হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর এই ছাত্রীর। এমনকি প্রস্তুতি শেষ হয়ে গিয়েছিল পাত্রীর মেহেন্দি থেকে শুরু করে গায়ে হলুদ প্যান্ডেল থেকে শুরু করে ভুরিভোজ সমস্ত কিছুরই। আত্মীয়স্বজনের ভিড়ও ছিল বাড়িতে। এদিকে পাত্রও বিয়ের জন্য হাজির পাত্রীর বাড়িতেও।
এদিকে গ্রামবাসীরা পুরো বিষয়টা হাসনাবাদ থানার পুলিশ প্রশাসনকে জানান ১০০ টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন করে। প্রশাসনের আধিকারিকরা বিয়ে বাড়িতে গিয়ে হাজির হন হাসনাবাদ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও শুভশ্রী দাস, পুলিশ আধিকারিক পল্টু সরকার কন্যাশ্রী দপ্তরের ডেটা ম্যানেজার প্রণব মুখোপাধ্যায় নেতৃত্বে। সেই দেখে পাত্র আবিদ পালাতে শুরু করেন বিয়েবাড়ি থেকে থেকে, এদিকে পাত্রীও লুকিয়ে পড়ে গোয়ালঘরে গিয়ে। পাত্রীর বাবা রজব আলি গাজিকে প্রশাসনের আধিকারিকরা এও বোঝান , বাল্যবিবাহ একটা গুরুতর অপরাধ। রাজ্য সরকারের রূপশ্রী, কন্যাশ্রী প্রকল্প রয়েছে ওই ছাত্রী সেগুলির সব সুযোগ সুবিধাই পাবে। প্রশাসন পড়াশোনার সমস্ত খরচা দেবে।
এরপর তাঁরা মুচলেকা নিয়ে নেন ছাত্রীর বাবা রজব আলির কাছ থেকেও। পাত্রীর বাবা এও বলেন, আমি পেশায় দিনমজুর মেয়েকে পড়াশোনা করাচ্ছি কোনওরকম ভাবে। আপনারা যদি আমাদের পাশে থাকেন তাহলে, ততদিন পর্যন্ত তাকে বিয়ে দেব না যতদিন পর্যন্ত সাবালিকা না হবে। পড়াশোনা করতে চাইলে পড়াশোনা করবে। পাশাপাশি ছাত্রী বলে, আমি পড়াশোনা করতে চাই। আগামী দিনে প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলের বাল্যবিবাহ রোধে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে আরো বেশি করে ছাত্রীদের বোঝাবো।