Bankura : কখন ভুট্টার ক্ষেতে, কখন আবার নদীর চরে ঝোপঝাড়ে… এবার প্রশাসন ড্রোন ওড়াবে গ্রামবাসীদের একাংশের কুকীর্তি রুখতে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : এবার বাঁকুড়া জেলা আবগারি দফতর অবৈধ পোস্ত চাষের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে চলেছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পোস্ত চাষের এলাকা ও জমি চিহ্নিতকরণের কাজও। ড্রোন উড়িয়ে এবার আবগারি দফতর এরিয়াল সমীক্ষার মাধ্যমে সেই পোস্ত চাষের জমি চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছে। বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার সীমানাবর্তী দামোদর নদের চরে ফি বছরই পোস্তর চাষ করেন এক শ্রেনির অসাধু কৃষক । এই পোস্তর চাষ এদেশে বেআইনি। সব জেনেও মোটা টাকা মুনাফার লোভে এই চাষ করেন ওই কৃষকরা। এই পোস্ত চাষে প্রত্যক্ষ মদত থাকে এক শ্রেনির চোরাই মাদক কারবারির। পোস্তর খোলা ও পোস্ত ফলের থেকে সংগৃহীত উপক্ষার দিয়ে তাঁরা ব্রাউন সুগার জাতীয় মাদকও তৈরি করেন। মাদক কারবারি ও অসাধু কৃষকদের সেই রমরমা রুখতে এবার আগেভাগেই মাঠে নেমেছে বাঁকুড়া জেলার আবগারি দফতর।
নদীর চরে পোস্ত চাষের জমি চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে ড্রোন উড়িয়ে এরিয়াল সমীক্ষা করে। আবগারি দফতরের দাবি, পোস্তর চাষ হয়েছে দামোদর নদের চরে প্রায় চারশো বিঘা জমিতে। রোটার চালিয়ে ওই জমিগুলির পোস্ত গাছ নষ্ট করে দেওয়া হবে জমি চিহ্নিতকরণের পরই ।
প্রসঙ্গত , এর আগে মালদায় আবগারি দফতর এভাবে ড্রোন উড়িয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল। শীতের গোড়াতেই মূলত পোস্ত চাষ শুরু হয় কালিয়াচকের তিনটি ব্লকের বিস্তীর্ণ অংশ সহ মালদহ জেলার বিরাট এলাকায়। মূলত এমনভাবে ভুট্টার ক্ষেতের আড়ালে পোস্ত চাষ হয়, যে কোনওভাবে সেখানে পুলিশ পৌঁছতেই পারে না। পোস্ত চাষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি কালিয়াচক-৩ ব্লকেই। এ ছাড়াও কালিয়াচক-২, কালিয়াচক-১, ইংরেজবাজার ব্লকের গ্রামাঞ্চল, চাঁচল-১, চাঁচল-২, গাজল, বামনগোলা এবং হবিবপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় পোস্ত চাষ হয়ে থাকে । পুলিশ যে জায়গায় পৌঁছতে পারে না, ড্রোন সেই কাজটাই সহজ করবে।