Covid ভ্যাকসিন অমিল অনলাইনে স্লট বুকিংয়ের পরেও , তুমুল উত্তেজনা ছড়াল অশোকনগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : হয়েছে অনলাইন বুকিং ।এমনকি মিলেছে স্লটও। সেই অনুযায়ী কয়েকশো মানুষ উপস্থিতও হয়েছে ভ্যাকসিনেশন সেন্টারের সামনে। ভ্যাকসিন মিলল না তা সত্ত্বেও। করোনা কালে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হল অশোকনগরের কল্যাণগড় পুরসভার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র-২তে ভিড় জমানো অনেকেই।
ঠিক কী হয়েছিল? যাঁরা ভ্যাকসিন নিতে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভিড় জমিয়েছিলেন তাঁদের দাবি, বুধবার বিকেলে তারা ভ্যাকসিনের জন্য বুকিং করেন কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে। খুব সহজেই তাঁরা স্লট পেয়ে যান। স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভিড়ও জমান এমনকি সময় অনুযায়ী। নদিয়ার কল্যাণী থেকেও কেউ কেউ অশোকনগরে দৌড়ে আসেন শুধুমাত্র ভ্যাকসিনের আশায়। লাইনেও দাঁড়ান অনেকেই। তবে কার্যত তাঁদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিকদের বক্তব্য শোনার পরই। কারণ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যাঁরা অনলাইনে ভ্যাকসিনের স্লট বুক করেছেন তাঁরা কোনো ভ্যাকসিন পাবেন না। পরিবর্তে যাঁরা আধার কার্ড জমা দিয়েছেন , তাঁদেরই আগে দেওয়া হবে। আর তাতেই অনলাইনে বুকিং করে ভ্যাকসিন দিতে আসা ব্যক্তিরা চরম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এমনকি তাঁরা দফায় দফায় বচসায় জড়িয়ে পড়েন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিকদের সঙ্গেও।
তবে শুধু মাত্র অশোকনগরই নয়, সর্বত্রই প্রায় একরকম ভ্যাকসিন নিয়ে ভোগান্তির এই ছবি। দ্বিতীয় ডোজ তো দূর অস্ত, অনেকের অভিযোগ, কার্যত অমিল প্রথম ডোজও। তার উপর আবার ভ্যাকসিন দুর্নীতির মতো ঘটনাও সামনে এসেছে। আপাতত শ্রীঘরে দেবাঞ্জন দেব কসবায় ভুয়ো আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগে। এমনকি সোনারপুরেও স্বাস্থ্যকর্মীকেই গ্রেপ্তার করা হয় বেআইনি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পের আয়োজনে।এদিকে বিশেষজ্ঞদের দাবি করোনাকে রুখতে টিকাকরণই একমাত্র হাতিয়ার বলেই। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে টিকাকরণও। তা সত্ত্বেও আমজনতা কার্যত দিশাহারা ভ্যাকসিন না মেলায়। যদিও আমজনতার এই চরম ভোগান্তির জন্য রাজ্য সরকার একমাত্র দুষছে কেন্দ্রকেই।