অবশেষে রাজ্য জেলায় জেলায় কন্টেনমেন্ট জোন তৈরির কাজ শুরু করল দ্বিতীয় ঢেউ থেকে শিক্ষা নিয়ে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : একরকম নাস্তানাবুদ করে দিয়েছে অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ। স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞদের আরও হুঁশিয়ারি, সম্ভাব্য তৃতীয় তরঙ্গের মোকাবিলা করা মুশকিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ-শৃঙ্খল ভাঙতে না পারলে। আপাতত সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও , কিন্তু চরম উত্কণ্ঠায় রেখেছে প্রাণহানির মতো ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার কোনও রকম ফাঁকফোকর রাখতে চাইছে না তৃতীয় কোভিড যুদ্ধের প্রস্তুতিতে। স্থানীয় স্তরে কন্টেনমেন্ট বা মাইক্রো-কন্টেনমেন্ট জ়োন তৈরির কাজ পুরোদমে চলছে দ্বিতীয় ঢেউয়ের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়েই। কলকাতার কাছে এবং দূরের জেলা — কন্টেনমেন্ট জ়োন করা হচ্ছে সর্বত্রই।
বিভিন্ন জেলা প্রশাসন বুধবারেই এলাকা বাছাই শুরু করেছে জেলায় জেলায় কন্টেনমেন্ট বিধি আরোপের ব্যাপারে মঙ্গলবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নির্দেশিকা পাওয়ার পরেই। সংক্রমণের চরিত্র কোন এলাকায় কেমন, ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে তা বুঝেও।বিভিন্ন জেলার কর্তাদের দাবি, সর্বত্র এই বিধিনিষেধ চালু করা যাবে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই।এদিকে কন্টেনমেন্ট জ়োন গড়া হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর, বারুইপুর, মহেশতলার কিছু জায়গায় সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি বুঝে । ওই জেলার বাকি অংশের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আজ, বৃহস্পতিবারই। আবার কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বিধাননগর কমিশনারেটের লেক টাউন থানা এলাকার বাঙুরের একটি অংশ, বাগুইআটি থানার অধীন কেষ্টপুরে রবীন্দ্রপল্লির একটি অংশ এবং রাজারহাট-বিষ্ণুপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাতেন্ডা এলাকার একটি অংশকে।
প্রশাসনিক সূত্রের আরও খবর, অনেকটাই কমেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আরও দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে কন্টেনমেন্ট জ়োন করে। হুগলির শহর এবং গ্রামীণ, দুই এলাকাতেই কন্টেনমেন্ট জ়োন গড়া হয়েছে ৪০-৪৫টি করে। হাওড়ায় কন্টেনমেন্ট জ়োন করা হয়েছে ২২টি এলাকায়। তার মধ্যে হাওড়া সদরে চারটি এবং বাকি সব উলুবেড়িয়া মহকুমা এলাকায়।