আরজি কর না পানশালা, মর্গে থাকত মদ ! প্রাক্তন মর্গ-কর্মী হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন সন্দীপ ঘোষের

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : আরজি করের পড়াশোনার মানের যে ক্রমশ অবনতি হয়েছে, সে অভিযোগ উঠেছে আগেই। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের স্ত্রী, তথা চিকিৎসক কাকলি সেন পড়াশোনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ওই মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি দাবি করেছেন, পরীক্ষায় পাশ করানোর জন্যও নাকি টাকা নেওয়া হত সন্দীপ ঘোষের আমলে। আর এবার আরও বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন আরজি করের মর্গের প্রাক্তন ক্লার্ক তারক চট্টোপাধ্যায়। সন্দীপ ঘোষ অধ্যক্ষ হওয়ার অনেক আগে থেকে ওই মেডিক্যাল কলেজে কাজ করতেন তিনি। অবসরের পরও তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি হয়। কীভাবে সন্দীপের আমলে প্রতিষ্ঠানের চেহারাটা বদলে গিয়েছে, তা চোখের সামনে দেখেছেন তিনি।

এদিকে তারক চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, মদ খাইয়ে কিছু লোককে নিজের আয়ত্তে রেখেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। প্রাক্তন অধ্যক্ষের মদতেই হাসপাতালের গেস্ট হাউসে রীতিমতো আসর বসত বলে দাবি করেছেন তিনি। কোথায় ‘স্টোর’ করে রাখা হত মদ, কোথায় ‘সাপ্লাই’ দেওয়া হত, সে সবই জানেন বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন কর্মী তারক।

তারক চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, কয়েকজন ব্যক্তিগত বাউন্সার ছিল সন্দীপ ঘোষের, এছাড়া কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তারকে নিয়ে একটা বাহিনী তৈরি করে রেখেছিলেন। পরীক্ষায় পাশ করাটাও নাকি ছিল সন্দীপ ঘোষের হাতেই! ওই প্রাক্তন কর্মী বলছেন, “কাছের ছাত্রদের মদ খাওয়াতেন সন্দীপ ঘোষ। বাইরের লোক এলে থাকা জন্য গেস্ট হাউস ছিল হাসপাতালে। সে গেস্ট হাউসকে বার বানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মদের আসর বসত। ৭-৮ জনের বাহিনী ছিল। তাদের বলা হয়েছিল, ‘আমার সঙ্গে থাকবি। পড়াশোনা করতে হবে না। পাশ করাটা আমি দেখে নেব।’”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *