মোদী প্রশ্নবানে বিদ্ধ মুসলিম সংরক্ষণ নিয়ে, ভরসা সেই গণতন্ত্রেই!

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : আপনার সরকার মুসলমানদের অধিকারের জন্য কি করেছে’? মার্কিন সফরে মোদীকে সরাসরি প্রশ্ন মোদীকে। কী উত্তর দিলেন প্রধানমন্ত্রী? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরের মাঝেই মার্কিন মুলুকে ভারতে মুসলমানদের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, অনেক মার্কিন নেতা এই প্রশ্ন তুলেছেন। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ওবামাও এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফরের সঙ্গে সঙ্গে ভারতে মুসলিম ও সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ইলহান ওমর সহ কিছু মার্কিন আইনপ্রণেতা, ভারতে সংখ্যালঘুদের নিপীড়নের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তৃতা বয়কট করেন।

আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও ভারতের ‘ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা’ নিয়ে সরব হয়েছেন। ওবামা বলেন, ‘যদি ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং অন্যান্য জাতিদের মানবাধিকার রক্ষা না করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে ভারত ভাগ হয়ে যেতে পারে।’ তিনি আরও বলেন বাইডেনের উচিৎ এই বিষয়ে মোদীর সঙ্গে আলোচনা করা। এই গোটা বিতর্কের মধ্যেই যখন যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদী উপস্থিত হন, তখন এক সাংবাদিক তাঁকে এ নিয়ে প্রশ্ন করেন। যার বিস্তারিত জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

প্রধানমন্ত্রী মোদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিক সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় মার্কিন সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করতে শুরু করেন। এই সময় এক সাংবাদিক মোদীকে সরাসরি প্রশ্ন করেন- ‘সারা বিশ্বের নেতারা গণতন্ত্র রক্ষার সংকল্প নিয়েছেন। তাহলে আপনি এবং আপনার সরকার মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষা এবং বাকস্বাধীনতা রক্ষার জন্য কী করছেন’?

এই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন ‘গণতন্ত্র আমাদের শিরায় রয়েছে এবং জাতি, ধর্ম এবং ধর্মের ভিত্তিতে কারও প্রতি বৈষম্য করার প্রশ্নই আসে না’। মোদী আরও বলেন, ‘ আমাদের সরকার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস নীতিতে চলে’ এবং ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে কোনও বৈষম্য’র প্রশ্নই নেই’।

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “গণতন্ত্র আমাদের শিরায় রয়েছে। ভারতের ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে গণতন্ত্র। মোদী সরকারও গণতন্ত্রেরই উপাসক। জাতি, ধর্মের কোনও বৈষম্য সেখানে নেই’ ভারতে জাতিগত বৈষম্যের প্রশ্নই আসে না।” মোদী দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেন, যেখানে তাকে উষ্ণভাবে স্বাগত জানানো হয়। ‘মোদী-মোদি স্লোগানে’ মুখরিত হয় অধিবেশন মঞ্চ। তবে এরই মধ্যে অনেক মার্কিন আইন প্রণেতা ভারতে সংখ্যালঘু এবং বিশেষ করে মুসলমানদের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আরও বলেছিলেন যে ‘আমি যদি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পেতাম আমি তাঁর কাছে ভারতের মুসলমানদের সুরক্ষার বিষয়টি উত্থাপন করতাম’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *