আলিপুরদুয়ারের পানি ঝরা শহরকে চিহ্নিত করা হলো বই গ্রাম হিসেবে
নিজস্ব সংবাদদাতা : খুলতে না খুলতে ২৯ হাজার পাঠক। হ্যাঁ এটা সত্যি ২৯ হাজার পাঠক আলিপুরদুয়ারের বই গ্রামের সদস্য হলেন। আপাতত সামান্য কিছু টাকা নিয়ে এইখানে শুরু হচ্ছে কাজ। কিন্তু বই গ্রাম ? এরকমও কি হয় ? হ্যাঁ এরকমই হচ্ছে এই গ্রামের সবাই যে বই পাগল, বই পড়তে ভালবাসেন। আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিজে যে ব্যাপারটা অনেকদিন ধরে লক্ষ্য। ভিমলা রঙ্গনাথন কিছুদিন আগেই আলিপুরদুয়ার জেলাশাসক হয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন। তিনি লক্ষ্য করেছেন এই গ্রামের মানুষ প্রচন্ডভাবে বইয়ের পোকা । বই পড়তে ভালোবাসেন । বই তাদের সব। বর্তমানে মোবাইল এবং টিভি তাদের ঘরে না থাকলেও বিশ্ববরেণ্য সমস্ত সমস্ত সাহিত্যিকদের লেখা বই আছে তাদের কাছে। তাই জেলা শাসক আর দেরি করেননি। অনুমতি নিয়ে নিজেই টেস্টটা চেষ্টা করে শুরু করলেন এই কাজ। গ্রাম হয়ে গেল বই গ্রাম হিসাবে আপনি যে কোন ধরনের বই এখানে পেয়ে যাবেন।
এমনটাই জানালেন আলিপুরদুয়ারে জেলা শাসক। এই গ্রামের লোক কাগজও পড়েন প্রচুর, সে বাংলা হোক বা ইংরেজি। তাদের যে জানার আগ্রহ প্রচন্ড। তাইতো তারা কাগজের পাশাপাশি বইতে নিজের মন বসিয়েছেন। আপাতত চলতে থাকুক মেম্বার বাড়লে পরে দেখা যাবে। বিমলা রঙনাথন ঠিক এইভাবেই জানালেন। তিনি আরো জানালেন, বর্তমান আধুনিক যুগে মানুষ যখন বইয়ের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, তখন এই গ্রামের লোকেদের বইয়ের প্রতি ভালোবাসা এক আলাদা আশার সঞ্চার করে।