আলো ঢাকা পড়েছে ঘন আঁধারে, ২৪ ঘণ্টা ধরে হাসপাতালে পরিষেবা মিলছে অন্ধকার হাতরেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ঘুটঘুটে অন্ধকার। পাশের বেডে যে আরও একটি রোগী শুয়ে আছে, টর্চ ছাড়া তাও টের পাওয়া অসম্ভব। একে হাঁসফাঁসানি গরম, তার মধ্যে এমন আঁধারেই দিন কাটছে খানাকুলের গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের। পরিস্থিতি এমনই কেউ কেউ তো আবার বলে উঠছেন, এর থেকে ঘরে চিকিৎসা করলেই ভাল হত।

কিন্তু হাসপাতালের মতো একটা জরুরি প্রতিষ্ঠানে কেন নেমেছে আঁধার? ২৪ ঘণ্টা ধরে কেনই বা বিদ্যুৎহীন হয়েই পড়ে রয়েছে তা? বিদ্যুহীন হতেই পারে, সেই পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়ার জন্য কেন ব্যবস্থা করা হয়নি জেনারেটর? প্রশ্ন তুলছে অনেকেই। উত্তর দিতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই প্রসঙ্গে স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘শুধু হাসপাতাল নয়। গোটা খানাকুলেরই একই অবস্থা। বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়, অল্প বৃষ্টি পড়লেই গোটা এলাকা অন্ধকারে ঢেকে যায়। একই ভাবে বেহাল গ্রামীণ হাসপাতালও।’যদিও এই প্রসঙ্গে খানাকুলের বিজেপি বিধায়কের সুশান্ত ঘোষের দাবি, গ্রামীণ হাসপাতালে তিনি একটি ৬৩ কেভির জেনেরেটার দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তৃণমূলের লোকজন তা লাগাতে দেয়নি। তাঁর আরও অভিযোগ, ‘আমার ফান্ডের টাকাতেই ওরা আমাকে কাজ করতে দিচ্ছে না। প্রতিদিন অন্ধকারে ডুবে থাকে, গোটা হাসপাতালটা।