ইছামতী নদীতে দুই বাংলার বিসর্জন সম্পন্ন হলো কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : করোনার কারণে অনেকেই এবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল কয়েক শতকের ঐতিহ্যের টাকির ইছামতীতে মায়ের বিসর্জন বন্ধ হয়ে যাওয়ার। তবে গত সপ্তাহে বাংলাদেশের ও এদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন, বিডিও এবং বসিরহাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক দীর্ঘ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিসর্জন হবে টাকিতে , তবে সেক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল বেশ কিছু নিয়ম বিধিও। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেউ লংঘন করবে না সীমান্তের জিরো পয়েন্ট। বাংলাদেশের মানুষ থাকবে সে দেশের সীমানার মধ্যেই আর এদেশের পুজো আয়োজক বা উৎসাহী জনতা থাকবে ভারতীয় সীমানা পর্যন্তই। আর ইছামতীর মাঝ বরাবর দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী থাকবেন কড়া নজরদারি চালানোর জন্য।
এছাড়াও সব মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ইছামতি নদীতে ভাসান হবে বিশ্বমহামারী করোনা আবহের মধ্যেই।নামবে অল্প কিছু সংখক প্রতিমার নৌকা , কিন্তু নদীতে নামবে না কোনও দর্শনার্থীদের নৌকা। পাশাপাশি ৫ থেকে ১০ জনের বেশি নৌকায় উঠতে পারবে না। এছাড়াও নদীর পাড়ে মানুষ ইছামতি নদীর ভাসান দেখতে পারবে উপযুক্ত সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনেই। জমায়েত করা যাবে না কোনোরকম ভাবেই। একেবারে হাইকোর্টএর নির্দেশ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এই প্রতিমা বিসর্জন হবে ইছামতির বুকে।
কলকাতা থেকেও বহু মানুষ এসেছিলেন এই এপার বাংলা ওপার বাংলার মেলবন্ধনের ঐতিহ্যশালী দীর্ঘদিনের ইছামতি নদীতে ভাসান দেখার জন্য। দূর-দূরান্ত থেকে এসেও কিন্তু বহু মানুষ হতাশা নিয়ে ফিরে গেলেন। কিছু মানুষের বক্তব্য একটু হলেও টাকিতে পৌঁছাতে পেরেছি এটাই ভালো। তবে এদিন অনেকেরই মাস্ক ছিলনা টাকিতে আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে,এমনকি বিসর্জনের অনুষ্ঠানে গা ভাসাতে গিয়ে অনেকেই বজায় রাখেননি নিজেদের দূরত্বও।এমনিতেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে হু হু করে বাড়ছে সেখানে নিয়ম না মানা মানুষের কারণে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে না তো প্রশ্ন উঠছে এমনকি তা নিয়েও।