উনুনে চা তৈরি করে শিলিগুড়ি মাথাচ্ছে নেতাজি কেবিন
শিলিগুড়ি : শিলিগুড়িতে যখন চা তৈরি হচ্ছে গ্যাস অথবা ইনডাকশন ওভেনে তখন শিলিগুড়িতে একমাত্র নেতাজি কেবিনেই উনুনে চা তৈরি হয়। এই চা এর স্বাদ হয় একেবারে আলাদা। বছরের পর বছর ধরে আমাদের দোকানে এই ভাবেই চা তৈরি হয় আর মানুষ এই ভাবেই চা খেতে পছন্দ করেন, জানান নেতাজি কেবিনের কর্ণধার প্রণবিন্দু বাগচী। তিনি আরো বলেন আমার বাবা প্রথমে এই ভাবেই চা তৈরি শুরু করেছিলেন। এখন আমরা এই ভাবেই চা খাওয়াচ্ছি চা প্রেমী মানুষদের।
তিনি আরো জানান এই চা তৈরি আমাকে আমার বাবা শিখিয়ে গেছেন যেটা এখন করছে আমাদের দোকানে থাকা কর্মচারীরা। না হলে রোজ সকালে এত মানুষ কোথা থেকে আসবে আমাদের দোকানে। নেতাজি কেবিনের আশেপাশে আরো ৬/৭ টি চায়ের দোকান আছে। কিন্তু কোথাও সকাল থেকে সন্ধ্যা এত ভিড় আপনি দেখতে পাবেন না। এর কোন রহস্য নেই জানালেন প্রণবেন্দু বাগচী, তিনি আরো জানালেন আমাদের দোকানে চা তৈরির পদ্ধতি অন্য দোকানে চাইতে একেবারেই আলাদা, তাইতো সারাদিনই ভিড় থাকে আমাদের দোকানে এটা আমি গর্ব করে বলছি না জানালেন প্রণবেন্দু বাগচি। তিনি জানালেন আমার দোকানে শ্রমিক বলে কেউ নেই আমার দোকানে সবাই কাজ করে একেবারে নিজের দোকান মনে করে। কলকাতা থেকে অনেক মানুষ আছে যারা শিলিগুড়ি আসলেই আমার দোকানে চা খেতে আসেন, এটা আমার কাছে অনেক বড় পাওনা বা বলতে পারেন অনেক বড় পুরস্কারও। আমি সততার সাথে দোকান করি আমি কাউকে নিয়ে ভাবি না, আমার একমাত্র উদ্দেশ্য কিভাবে মানুষকে ভালো খাবার পৌঁছে দেওয়া যায়। আর সেই কারণেই হয়তো ভগবান আমাকে আশীর্বাদ করছেন জানালেন প্রণবানন্দ বাগচী। আজকে আমার নেতাজি কেবিন সারা বাংলার মধ্য বিখ্যাত হয়ে আছে, শুধুমাত্র তার গুণমানের জন্য।
প্রণবেন্দ বাগচী এও জানালেন আমি চেষ্টা করে মানুষকে ভালো পরিষেবা দিতে আর সেটাই আমার কাছে সবচাইতে বড় মূলধন, যেটা আমাকে ভবিষ্যতে আরো বড় এবং ভালো জায়গায় নিয়ে যাবে, আমার এই দোকানের সুনামের জন্য আমার কর্মচারীদের অবদান কম নয়, দিনরাত তাদের পরিশ্রমকে আমি ভুলে যায় কিভাবে? আমি সবাইকে নিয়ে চলতে চাই, জানালেন প্রণবৃন্দ বাগচী, তার এই চিন্তার জন্যই হয়তো তার এই নেতাজি কেবিন সবার সেরা হতে পেরেছে।