এ যেন এক সাক্ষাৎ পাতালপুরী! পর পর গ্রাম রয়েছে মাটির নীচের গভীর অন্ধকারে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : এক শ্রেণির মানুষ আজও বিশ্বাস করেন, স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল– এই তিন নিয়েই নাকি গড়ে উঠেছ এই বিশ্ব। স্বর্গলোক, যেখানে মনে করা হয় দেবদেবীরা থাকেন বলে। মর্ত্য হল এই পৃথিবী, এই মাটি; আর পাতাল হল মাটির নীচের অংশ। ভারতে এখনো এমন কিছু গ্রাম এখনও রয়েছে, যা প্রকৃতপক্ষে অবস্থিত মাটির নীচেই। প্রকারান্তরে যাকে ‘পাতালপুরী’ বললেও ভুল হয় না।এই অঞ্চল অবস্থিত মধ্য প্রদেশে। পাহাড়ঘেরা দুর্গম জায়গায় এই গ্রামগুলির অবস্থান। প্রায় তিন হাজার ফুট নীচে ভূপৃষ্ঠ থেকেও। কিন্তু মানুষজন দিব্যি বসবাস করছেন এইসব গ্রামে। তাঁদের যোগাযোগও খুব কম বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে। এক কথায় এই গ্রামাঞ্চলকে ‘পাতালপুরী’ও বলা চলে।
বিচিত্র রহস্যময় এই জায়গার নাম ‘পাতালকোট’। জায়গাটি রয়েছে মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায়। এর অবস্থান শহরাঞ্চল থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে সাতপুরা পাহাড়ের উপত্যকায়। সেখানে রয়েছে ১২টি গ্রাম। এগুলির চারপাশে রয়েছে পাহাড়। জনসংখ্যা হাজার তিনেকের মতো। এমনকি গাছপালায় ঢাকা দুর্গম গ্রামগুলিও। সূর্যের আলো পৌঁছয় না এমনকি অনেক জায়গাতেও । এ যেন এক অন্ধকার, স্যাঁতসেঁতে, রহস্যময় পাতালপুরী।
প্রসঙ্গত, এই পাতালকোট এতই দুর্গম এবং বাইরের জগৎ থেকে এখানকার মানুষ এতটাই বিচ্ছিন্ন যে, তাঁরা জানতেনই না যে করোনা অতিমারীতে ভুগছে গোটা পৃথিবী! এমনকি এখানে থাবা বাড়াতে পারেনি করোনাভাইরাস।এসব গ্রামে বসবাস করেন ভারিয়া উপজাতির মানুষ। তাঁদের বসবাস পাহাড় ও প্রকৃতিকে কেন্দ্র করেই।নিজেরাই উৎপাদন করেন নিজেদের খাবার।তাদের ভীষণ অনীহা বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগে। যথেষ্ট সমৃদ্ধ এঁদের স্থানীয় সংস্কৃতিও। এখনও তাঁরা বজায় রেখেছেন নিজেদের সাংস্কৃতিক নিজস্বতাও।