এই’ কাজ করতে হবে আগামী ৩০ মে’র মধ্যে! জেলায় জেলায় নবান্নের বড় নির্দেশ পড়ুয়াদের কেন্দ্রীয় ‘স্কলারশিপ’ নিয়ে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আধার কার্ড নিয়ে সংশয়, পড়ুয়াদের দেওয়া তথ্যে ভুল। আটকে গিয়েছে প্রি ও পোস্ট ম্যাট্রিক কেন্দ্রীয় স্কলারশিপ। মূলত প্রি-মাট্রিক ও পোস্ট-মাট্রিক সরকারি বৃত্তি দেওয়া হয় তফসিলি জাতি ও অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণীর পড়য়াদের জন্য। কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পের বৃত্তি আধার বেসড পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে হওয়ার জন্যই বাড়ছে নাপ্রাপ্তির সংখ্যা। আর তাই সেই কারণেই বিশেষ তৎপর হল নবান্ন। নবান্ন সূত্রে খবর রাজ্যে তফসিলি জাতি ও অন্যান্য পশ্চাদপদ শ্রেণীর পড়ুয়াদের বৃত্তি নিয়ে আবেদন জানানোর পদ্ধতিতে খামতি দূর করতে রাজ্য গরমের ছুটির পর স্কুল খুললেই কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন ওরিয়েন্টাশান শিবির খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই। স্কুলের যে শিক্ষকরা ছাত্রদের এই বৃত্তি পাওয়ার আবেদনপত্র তৈরি করার দায়িত্বে রয়েছে তাদেরই বাধ্যতামূলকভাবে এই শিবিরে যোগ দিতে হবে। যাতে পড়ুয়াদের বৃত্তির জন্য আবদেনপত্রকে ত্রুটি মুক্ত করা যায়।
এদিকে অনগ্রসর কল্যাণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে,রাজ্য সরকারের শিক্ষাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে নয় লক্ষ পড়ুয়াকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে গত আর্থিক বছরে। একই সময় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা পেতে সমস্যা হয় প্রি-মাট্রিক অর্থাৎ দশম শ্রেণী বা তার নীচের ক্লাসে পড়েন এমন তফসিলি জাতি ও অন্যান্য পশ্চাদপদশ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য । আরও দেখা গিয়েছে, যারা আবেদন করেছেন তাদের একটা অংশ আবেদনের সঙ্গে জমা দেয়নি আধার কার্ড ও জাতিগত শংসাপত্র। অনেকে আবার আধার কার্ডের নম্বর ভুল লিখেছে। দেয়নি পারিবারিক আয়ের সার্টিফিকেট। এছাড়াও অনেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছে কিন্তু তার সঙ্গে সংযোগ করা নেই আধার কার্ড । এর ফলে তারা বৃত্তি পাচ্ছে না গত বছর থেকে।
তদন্তে আরও দেখা গিয়েছে, এই আবেদনগুলি স্কুল থেকে অনলাইনে নির্দিষ্ট পোর্টালে করতে হয়। প্রতিটি স্কুলেই এজন্য একজন নোডাল শিক্ষক থাকেন। অনলাইনে আবেদন জানানোর সময় তথ্য পেশ করার ক্ষেত্রে ত্রুটি হচ্ছে। আধার কার্ডের ভুল নম্বর দেওয়াই এর কারণ বলে রাজ্য অনগ্রসর কল্যাণ দফতর মনে করছে। ফলে পড়ুয়ারা বঞ্চিত হচ্ছেন স্কলারশিপ বা বৃত্তি থেকে। ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে পড়ুয়াদের আবেদনের সাথে থাকা আধার কার্ড, শংসাপত্র, পারিবারিক আয়ের সার্টিফিকেট ও ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত ত্রুটি দুর করে পেশ করতে বলা হয়েছে আগামী ৩০ মে’র মধ্যে । দ্রুত কাজগুলি করতে বলা হয়েছে স্কুলগুলির সঙ্গে জেলাশাসকদের যোগাযোগ করে। যাতে পড়ুয়ারা বঞ্চিত না হয় বৃত্তির সুবিধা থেকে। কারণ ১৬ জুনের পর চলতি আর্থিক বছরের বৃত্তির জন্য আবেদন নেওয়া হবে পড়ুয়াদের কাছ থেকে।