এডিস মশার লার্ভার হদিশ মিলল অনাথ আশ্রমের ৪১টি জায়গায় ! আক্রান্ত হল ১৪ শিশু
বেস্ট কলকাতা নিউজ : উত্তর কলকাতার একটি অনাথ আশ্রম। থাকেন প্রায় সাড়ে তিনশো আবাসিক। আর তার ভিতরেই ৪১টি জায়গায় মিলল ডেঙ্গির জীবাণুবাহী মশার লার্ভা। যা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে উঠে গিয়েছে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকদের। এই হোম এর সর্বময় কর্তা পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ড এর তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। ওই অনাথ আশ্রমে প্রায় সাড়ে তিনশোর উপরে শিশু এবং মহিলার বসবাস। কলকাতা পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বিপিন বিহারী গাঙ্গুলী স্ট্রিটের এই আশ্রমটিতে অবস্থা দেখে হতভম্ব কলকাতা পুরসভা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারা।
কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ এ ব্যাপারে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ওই হোমে ৭ জন ডেঙ্গি এবং ৭ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত। যেখানে এতগুলো শিশু থাকে সেখানে জল জমার ভয়ংকর অবস্থা দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত আশপাশের বাসিন্দারাও।
ওই এলাকাতেও ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে। এদিকে এতগুলি মশার লার্ভা মিলেছে জানতে পেরে অবাক ওই হোমের কর্তা তথা ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। তিনি বলেন,”আমাকে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কিছুই জানায়নি।”
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্বীকার করলেন, “গতবার থেকে কলকাতায় ডেঙ্গি বেড়েছে। এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত প্রায় ২৭০০। গত বছর এই সময় পর্যন্ত আক্রান্তের পরিমাণ ছিল ২৪০০ জন।” পরিসংখ্যান বলছে, শহর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৫১। গ্রামীণ এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ২৭২ জন। অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে এরই মধ্যে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে।
শনিবারই কলকাতা পুরসভার অধিবেশন। সেখানে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কাউন্সিলরদের প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন মেয়র। যদিও ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ‘মানুষকেই আরও বেশি সচেতন হতে হবে। তা না হলে ডেঙ্গি প্রতিরোধ করা যাবে না।’