এবার থেকে নতুন নিয়ম আনা হবে টোটোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে” এমনটাই জানালেন পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী
বেস্ট কলকাতা নিউজ : এবার থেকে নতুন এক নিয়ম আনা হবে টোটোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে। মঙ্গলবার হাওড়ায় এক অনুষ্ঠানে এসে একথাই জানালেন এ রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
এদিকে শহরের রাস্তায় যত্রতত্র অবৈধ টোটো চলাচল নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এও বলেন, “টোটো যত্রতত্র চলছে বলে অনেক অভিযোগ আসছে। অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তাই আমরা স্থির করেছি আমরা বন্ধ করে দেব অবৈধ টোটো উৎপাদন সেন্টারগুলো। এক্ষেত্রে প্রশাসনকেও নির্দেশ দেওয়া হবে যাতে প্রশাসন এই অবৈধ টোটো সেন্টারগুলো বন্ধ করে দেয়। এবং অবৈধভাবে যাতে কেউ না গাড়ি বার করতে পারে। একটা সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে আগামী দিনে টোটো চলাচল করবে এটাই আমরা চাইছি।সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অবৈধ টোটো উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই অবৈধ টোটো বার করতে দেওয়া হবে না। যে সব টোটো চলছে সেগুলি চালানোর জন্য একটা রুট তৈরি করা হবে। এই ব্যাপারে পুরনিগম, পুরসভা, কেএমডিএ বা পঞ্চায়েত সমিতির মতো সংস্থার সঙ্গে কথা বলে একটা সিস্টেমে আনা হবে। যাঁরা টোটো কিনতে চান তাঁদের উন্নত মানের টোটো কিনতে হবে। ই ভিহেকেলস কিনলে সরকারের কাছ থেকে ছাড় পেতে পারে।
অনেক অভিযোগ আছে টোটোর বিরুদ্ধে। টোটোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আনা হবে একটা নিয়মের মধ্যে । মন্ত্রী আরও বলেন, “কলকাতার মোট জমির ৬ শতাংশ রাস্তা। যেখানে মুম্বইয়ে ১০ শতাংশ এবং দিল্লির ১৮ শতাংশ। এখানে রাস্তা চওড়া করা সম্ভব নয়। এর মধ্যে গাড়ি বেড়েছে। তবে এই সরকারের আমলে যান অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
গাড়ির আরও পারমিট দেওয়া হবে। তবে সেক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হবে যেখানে গাড়ির সংখ্যা কম সেখানেই। দূরদুরান্তে যাওয়ার জন্য এই টার্মিনার্স তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত যারা তাঁদের কাছে এই টারমিনার্স জনপ্রিয়তা লাভ করেনি। এই টার্মিনার্স যেমন থাকবে তেমন কলকাতার উত্তর এবং দক্ষিণে আন্তর্জাতিক মানের বাস টার্মিনার্স তৈরি করা হবে।”
ট্রান্সপোর্টে দালাল চক্রের বিষয়ে আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে পরিবহন মন্ত্রী এও বলেন, “ট্রান্সপোর্ট নিয়ে এর আগে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখা হয়েছিল রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অথরিটিগুলোকে। আমরা আসার পর চালু করেছি অনলাইন পক্রিয়া । ১০০ শতাংশ অনলাইন পক্রিয়া চালু করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। দালাল চক্র এর আগেও ছিল। আমরা ১০০ শতাংশ অনলাইন সিস্টেম চালু করতে চলেছি। এছাড়াও ২৪ ঘন্টার মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স যাতে দেওয়া যায়, পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে হাওড়া জেলায় সেই কাজ আমরা শুরু করেছি।”