কানে হেডফোন চোখে মোবাইল স্ক্রিন !ট্রেন হর্ন শুনতে না পেয়ে রেল লাইনেই কাটা পড়ল ৪ কিশোর
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বারবারই প্রশাসন সচেতনতা বাড়াতে তত্পর হয়েছে কানে হেডফোন দিয়ে রাস্তা পারাপার থেকে শুরু করে ট্রেন লাইন পার হওয়ার ক্ষেত্রে। কিন্তু কাজ হয়েছে কতটা ? মানুষ সচেতন হয়েছে কতটা ? সেই প্রশ্নই আবারও তুলে দিল লাইনেই কাটা পড়ে চার কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা।একসঙ্গে চার কিশোরের মৃত্যু হল ট্রেনে কাটা পড়ে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার ধুমডাঙ্গী স্টেশন এলাকায়। এমনকি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। তখন তীব্র গতিতে ট্রেন ছুটে আসছে লাইন দিয়ে। বাজানো হয় এমনকি ট্রেনের হুইসেলও। কিন্তু ওই চার কিশোরের কানে পৌঁছায়নি হুইসেলের আওয়াজ। কারণ ওরা তখন মোবাইল ফোনেই ডুবে ছিল। কানে হেডফোনের পাশাপাশি মোবাইল স্ক্রিনেও তাদের চোখ ছিল। ফলে তাদের কোনও ভ্রুক্ষেপই ছিল না। সেই কারণে তারই মাশুল দিতে হল তাদের নিজেদের জীবন দিয়ে।
ট্রেনে কাটা পড়ে একসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে চার কিশোরের। তাদের দেহ এমনকি ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে । স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাত্ রবিবার রাতে রেল লাইনের উপর দিয়ে কানে হেডফোন গুঁজে হেঁটে যাচ্ছিল ওই চার কিশোর। আর তাদের চোখ ছিল মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে। আর আগরতলা-দেওঘর এক্সপ্রেস ডাউন লাইনে ছুটে আসছিল ঠিক সেই সময়ই।এমনকি অনেকে চিত্কার করেছিলেন তা দেখতে পেয়েই। এদিকে ট্রেনও এগিয়ে আসছিল হুইসেল বাজিয়ে। কিন্তু ওই চার কিশোরের কানে পৌঁছাই নি তার কোন কিছুই।
আর তাই যা হওয়ার তাই হয়, দেখা যায়, মুহূর্তের মধ্যে তাদের দেহ ছিন্ন বিচ্ছিন হয়ে যায় চলন্ত ট্রেনে কাটা পড়ে।এলাকার স্থানীয়রা ছুটে আসেন এই ঘটনার পরই । কিন্তু তখন আর কিছু করার নেই। শুধুই রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহাংশ রেল লাইন জুড়ে । রেল পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছায় খবর পেয়ে।এমনকি জানা গিয়েছে মৃতরা প্রত্যেকেই চোপড়ার কোনাগছ গ্রামের বাসিন্দা বলেই। তবে এখনও অজানা তাদের পুরো পরিচয়। এদিকে সরকারিভাবে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে রেল পুলিশও ধন্দে রয়েছে তা নিয়ে। রেল পুলিশ এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয়দের দাবি চার কিশোরই মারা গিয়েছে বলেই।