কুম্ভস্নানের এক বিরল যোগ কয়েকশো বছর পর! চরম অভূতপূর্ব এক কর্মযজ্ঞের আয়োজন হুগলির ত্রিবেণীতে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কুম্ভস্নানের বিশেষ যোগকে কেন্দ্র করে আগামী বছরে সাধু-সন্তদের মিলনক্ষেত্র হিসেবে গড়ে উঠবে হুগলির ত্রিবেণী। একটা সময় এলাহাবাদের প্রয়োগের পর হুগলির ত্রিবেণীর এই মুক্তবেণী ছিল আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলের একটি কেন্দ্রস্থল। আবারও হুগলির ত্রিবেণীর সঙ্গমে অভূতপূর্ব কর্মযজ্ঞের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর ত্রিবেণীর কুম্ভমেলা উপলক্ষে তিনদিনব্যপী বিশাল কর্মযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে।
৭০০ বছরেরও বেশি সময় আগে একটা সময় হুগলির ত্রিবেণীতে কুম্ভস্নান উপলক্ষে বিপুল ভিড় হতো। এরাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্য থেকেও সাধু-সন্তদের ঢল নামতো হুগলির ত্রিবেণীসঙ্গমে। ত্রিবেণীতে তিন নদীর সংযোগস্থল হয়ে উঠেছিল সাধু-সন্তদের অন্যতম মিলনক্ষেত্র। তবে পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে কুম্ভস্নান বন্ধ হয়ে যায় ত্রিবেণীতে। নতুন করে সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের তরফে। কত কয়েক বছর ধরে ত্রিবেণীর তিন নদীর সঙ্গমস্থল বর্তমান প্রয়াগরাজেরই সংস্করণ হয়ে উঠেছে।
২০২৫ সালের ১১, ১২ এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি ত্রিবেণীতে কুম্ভমেলার আয়োজন করা হয়েছে। রিষড়া প্রেম মন্দির আশ্রমের সম্পাদক নির্গুণানন্দ মহারাজ বলেন, “ত্রিবেণী কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১, ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি। ১২ তারিখ মুখ্য কুম্ভ মেলার স্নানযোগ রয়েছে। আগামী বছর পূর্ণিমা তিথি ও সংক্রান্তি সংযুক্ত হয়েছে। বিশেষ পূণ্যস্নানের যোগ তৈরি হয়েছে। কয়েকশো বছর পরে এই যোগ এসেছে। তিন দিন ধরে ওখানে ধর্মসভা হবে। বিভিন্ন মহাপুরুষের জীবনী নিয়ে আলোচনা চলবে। এরই পাশাপাশি কীর্তনের আসর বসবে। ছৌ নাচ প্রদর্শিত হবে। এ রাজ্যে তো বটেই ভিনরাজ্য থেকেও প্রায় হাজার খানেক সাধু-সন্ত থাকবেন। ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ত্রিবেণীর সপ্তর্ষিঘাটে আরতি হবে ১০ হাজার প্রদীপ জ্বালিয়েও।”