কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা ধর্মঘটের সমর্থনে টানা তিনদিন কলকাতায় বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বামেদের আহ্ববানে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ‘শ্রমিক-কর্মচারী স্বার্থবিরোধী নীতি’ প্রণয়নের অভিযোগ তুলে দেশব্যাপী আগামী ২০ মে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন, ফেডারেশনগুলি। সেই নিয়ে প্রচার ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে জেলায় জেলায় । এবার কলকাতায় টানা তিনদিন একাধিক মিটিং মিছিল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে ।
বাম সংগঠনগুলোর একটি সূত্রের দাবি, এই ধর্মঘটের সমর্থনে আগামী ১৩ -১৫ মে পর্যন্ত টানা তিনদিন একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে । ১৩ মে নিজাম প্যালেসে বিক্ষোভে সামিল হবেন শ্রমিক আন্দোলনের নেতা ও কর্মীরা । সেখানে রিজিওনাল লেবার কমিশনারের মাধ্যমে শ্রমমন্ত্রীকে ডেপুটেশন দেওয়া হবে । পরের দিন ১৪ মে কলকাতা শহরের ১১টি জায়গা থেকে বড় মিছিল হবে । এবং ১৫ মে ধর্মতলার লেনিন মূর্তি থেকে কেন্দ্রীয় মিছিল হবে ।

ওই সূত্রের আরও দাবি, সপ্তাহখানেক আগে শিয়ালদহ কৃষ্ণপদ ঘোষ মেমোরিয়াল হলে কলকাতায় কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনগুলির যৌথ কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয় । সেই কনভেনশন থেকেই এই তিনদিনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে । তাতে, সিআইটিইউ (সিটু), এআইটিইউসি, এআইইউটিইউসি, আইএনটিইউসি, এআইসিসিটিইউ, ইউটিইউসি ইত্যাদি শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন ।
শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ, শ্রমজীবী মানুষের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতাকে । ধর্ম, বর্ণ, জাতি সম্প্রদায়ের ভাষার সংস্কৃতির ভিত্তিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে মেরুকরণ, বিভাজন ও হিংসা এবং ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে । তাই, মোদি সরকারের শ্রমিক-কর্মচারী স্বার্থবিরোধী নীতি ও পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আগামী ২০ মে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন, ফেডারেশন দেশব্যাপী ধর্মঘটে শামিল হবে গোটা দেশ।
এদিকে সিটু নেতা অনাদি সাহুর অভিযোগ, “কেন্দ্রের মোদি সরকার তোষণকারী, জনবিরোধী, দেশবিরোধী নীতির ফলে দেশের মানুষের দারিদ্র ও সংকট চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে । ক্ষুধা, অপুষ্টি, বেকারি, কর্মচ্যুতি, ওষুধ-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবন ক্রমশ দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে দেশের ২৯ টি শ্রম আইন বাতিল করে প্রণয়ন করা হয়েছে ৪ টি শ্রমকোড। যার মূল লক্ষ্য হল দেশের শ্রমিক কর্মচারীদের দাসত্বের শৃঙ্খলে বাঁধা। কাজের ঘণ্টা, ন্যূনতম মজুরি, সামাজিক সুরক্ষা, কাজের অধিকার ও শর্তাবলী, ইউনিয়নে সংগঠিত হওয়া, আন্দোলন বিক্ষোভ ও ধর্মঘটের অধিকার সবই কেড়ে নেওয়া হয়েছে এই শ্রমকোডের মধ্যে দিয়ে ।’’