কোনো কাজ নেই শহরে, তাই বাধ্য হয়েই বাইরে যাচ্ছেন শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা
শিলিগুড়ি : কর্মহীন শিলিগুড়ি। তাই উপায় না দেখে বাইরে পা রাখছে শিলিগুড়ির শিক্ষিত বেকার যুবতীরা। যাদের টাকার জোর বেশী নেই তারা খুব জোর কলকাতাতে যাচ্ছে। আর যারা আর্থিক দিক থেকে শক্তিশালী তারা পাড়ি দিচ্ছে হায়দ্রাবাদ কিংবা ব্যাঙ্গালোরে। শিলিগুড়িতে কেন নয় এক শিক্ষিত যুবকের কথায় আমাদের যেটা নিয়ে লক্ষ সেটাই এখানে নেই তাই বাইরে যেতেই হচ্ছে।আর শিলিগুড়িতে কিছু গাড়ির শোরুমে কাজ করা ছাড়া অন্য কাজ একেবারেই নেই বললেই চলে বলে জানালেন ওই যুবক।আগে মোবাইল কোম্পানিতে কাজ করতেন বহু যুবক যুবতী কিন্তুু এখন সেটা নেই। তাই বাধ্য হয়ে বাইরে যেতেই হচ্ছে আমাদের। বড় চাকরী তো ছেড়েই দিলাম সামান্য বেতনের চাকরীও এখানে পাওয়া যায় না।
কিন্তুু কেন হল এই ঘটনা। ভীতরের কথা এখন শিলিগুড়ি নিয়ে মানুষের আগ্রহ কমে গেছে অনেকটাই। পর্যটনের একেবারে মানচিত্রের ভীতরে শিলিগুড়ি তা হলেও শিলিগুড়ি ব্রাত্য। শিলিগুড়ির আশেপাশে প্রচুর জায়গা আছে যে জায়গাগুলোতে ঘুরতে আসলে শিলিগুড়ির জনপ্রিয়তা শুধুমাত্র বাড়বে না,বাড়বে কর্মসংস্থান কিন্তুু সেটা কোনভাবেই হয়ে উঠছে না। কাজেই কোনভাবেই শিলিগুড়ি বেকার যুবক যুবতীদের কাছে আকর্ষনীয় হয়ে উঠতে পারছে না। ব্যাবসায়ীক শহর শিলিগুড়িতে ব্রাত্য চাকরী।
শিলিগুড়ি থেকে মাত্র সাড়ে পাচশো কিমি দুরে কলকাতা সেখানে আর কিছু না হোক খাবার খরচ একেবারেই কম, শুধুমাত্র তাই নয় সারা ভারতের মধ্যে কলকাতাতে খাবারের জিনিসের দাম একেবারেই নেই বললেই চলে। তাই সামান্য বেতনেও কলকাতাতে থাকছেন শিক্ষিত বেকারেরা। কারন এতকম দামে সারা ভারতের কোথাও খাওয়া পাওয়া যাবে না।তাই কলকাতা।আর অন্য ধরনের শহর হয়েও শিলিগুড়ি যেন শহরের শিক্ষিত যুবক যুবতীদের কাছে একটা হতাশার শহরে পরিনত হয়েছে। এক যুবতী জানিয়েছেন আমাদের বাবা মায়েরা ছেড়ে দিয়েছেন বাইরে থাকবার জন্য। কারন এখানে পড়েকি হবে? এমনিতেই কাজ নেই,তার উপরে শিলিগুড়িতে কাজ তৈরী করার লোক নেই,তাই বাধ্য হয়েই শহরের বাইরে থাকছি আমরা।কারন সবার এত টাকা নেই যে ব্যাবসা করবে,চাকরী খুজতে তাই বাইরে আমরা। সবার একই মত রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি একটু সজাগ হতেন তবে এই অবস্থা হত না, কিন্তুু সবাই চায় নিজেদের আধিপত্য,তাই ভুগছে শিলিগুড়ি আর ভুগছে শিলিগুড়ির শিক্ষিত বেকার যুবক এবং যুবতীরা।