” ঘটনাটা দুঃখজনক তবে তার থেকেও বেশি দুঃখজনক নোংরা রাজনীতি”, এমনি মন্তব্য করলেন জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষ
নিজস্ব সংবাদদাতা : আর জি করের ঘটনা নিয়ে যেভাবে রাজনীতি চলছে এবং দিনের পর দিন তা বেড়েই চলেছে এই ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণভাবে সহমত জানালেন জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষ। তিনি জানান আমি অবশ্যই চাই দোষীরা শাস্তি পাক। যে অত্যাচার যে অনাচার যে অবিচার ওই মেয়েটির সাথে হয়েছে সেটা কোনভাবেই সমর্থন করা যায় না। আমাদের কাজ এই অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ করা, আজকে সারা বাংলা জুড়ে যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে তার ছিটে ফোঁটা এর আগে থাকতো তবে এই দুর্ঘটনা ঘটতো না। আমরা যদি ঘটনা ঘটার পরেই সজাগ এবং সচেতন হই তবে তার কোন সমাধান থাকেনা।
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলগুলি যেভাবে রাজনীতি করে চলেছে এবং মুখ্যমন্ত্রীকে যেসব ভাষায় কথা বলে যাচ্ছেন সেগুলিকে কোনভাবেই সমর্থন করা যায় না। প্রতিবাদ করতে গিয়ে একজন মহিলাকে যেভাবে নক্কারজনক ভাষায় কথা বলা হচ্ছে এটার বিরোধিতা করি আমি। আমি চাই সত্য ঘটনা অবিলম্বে সামনে চলে আসুক , যে বা যারা দোষী আছে তারা শাস্তি পাক, এমন শাস্তি পাক যাতে পরবর্তীতে কেউ অপরাধ করার আগে দশবার ভেবে নেয়, কিন্তু তা বলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে যে কুৎসিত ভাষায় কথা বলা হচ্ছে সেটা কি মেনে নেওয়া যায়? আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের কথা ভেবে মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন তাই তার মত মহিলাকে যদি কেউ অপমান করেন অবমাননা করেন, এটা কখনোই আমরা মেনে নেব না। এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর থেকে প্রচুর কুৎসিত প্রতিবাদ আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য করা হয়েছে, সেই ঘটনাগুলো যদি দেখা হয় এগুলো কি প্রতিবাদের ভাষা, আর কারা করতে চলেছেন এইসব ভাষা প্রয়োগ দেখলে অবাক হয়ে যেতে হয়। আমি সবসময় হাত এবং সত্যের পক্ষে আমি চাই দোষীরা শাস্তি পাক, তবে কোন রাজনীতিক যদি জল ঘোলা করেন তবে আমি তার তীব্র প্রতিবাদ করছি। এই ঘটনা নিয়ে যেভাবে রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে আমি এর পক্ষে নেই কোন ভাবেই জানান জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষ।