দীপাবলিতে কলকাতার বাতাসে বিষ ছড়ালো আতশবাজির ধোঁয়ায় , চরম বিপজ্জনক পরিস্থিতি শহর হাওড়াতেও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : পুলিশের অনুমতির তোয়াক্কা না-করে দীপাবলিতে রাত ১০ টার পরও যথেচ্ছভাবে পুড়ল আতশবাজি ৷ তার জেরে কালীপুজোর এক রাতেই কলকাতা, হাওড়ার বাতাসে বাড়ল দূষণের মাত্রাও ৷ রাজ্যের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ড (WBPCB) এবং পুলিশের তরফের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দীপাবলির দিন রাত ১০ টার সময় কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এলাকায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ছিল ১৮৬ এবং হাওড়ার বেলুড়ে AQI ছিল ৩৬৪ ৷ বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ড অনুযায়ী, বাতাসের একিউআই-এর মাত্রা ১৫০ থেকে ২০০ -এর মধ্যে হলে খারাপ, ২০১ থেকে ৩০০ -এর মধ্যে হলে খুব খারাপ এবং ৩০০ -এর বেশি হলে তাকে বিপদজনক বলে গণ্য করা হয় ৷ WBPCB-এর তথ্য অনুযায়ী, হাওড়ার পদ্মপুকুরে রাত ১০ টায় AQI-এর মাত্রা ছিল ৩৬১ এবং ঘুসুরিতে ছিল ২৫২৷

বোর্ডের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাত ১০ টার সময় কলকাতার বালিগঞ্জে একিউআই-এর মাত্রা পৌঁছে যায় ১৭৩ -এর কোঠায় এবং যাদবপুরে একিউআই-এর মাত্রা পৌঁছে যায় ১৬৯ -এ ৷ এদিকে, শহরের উত্তরের সিঁথির রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার AQI-এর মাত্রা পৌঁছয় ১৬৭ -এর ঘরে ৷ বায়ু এবং শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য এই বছর কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে আতশবাজি পোড়ানোর সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল রাত ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত দু’ঘণ্টা ৷ কিন্তু আলোর উৎসব উদযাপনে সেই নিষেধাজ্ঞাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শহরের প্রায় প্রতিটি এলাকায় দেদার আতশবাজি পুড়িয়েছেন এলাকাবাসীরা ৷ বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, দীপাবলির দিন রাত ৮ টায় ভিক্টোরিয়া চত্বরে একিউআই ছিল ১৬৪ , যাদবপুরে ১৫৬ , ফোর্ট উইলামে ১১৭ , রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ১০২ , বালিগঞ্জে ১৩৪ এবং হাওড়ার বেলুড় মঠ চত্বরে ১৬১ ৷ রাত ১০ টার পর হু হু করে বাড়তে থাকে সেই মাত্রাও৷